জাকিয়ে শীত পড়ায় রেকর্ড গরম কাপড় কেনার ভীড় জেলা জুড়ে

Newsbazar24 :মালদা জেলাজুড়ে গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা ঠান্ডা হিমেল হাওয়ার জন্য পারদ নামল শীতের। আর তাতেই দোকানগুলিতে শীত থেকে বাঁচার জন্য ক্রেতাদের গরম পোশাক কেনার ভিড় উপচে পড়ছে ক্রমাগত।
এই হিমেল হাওয়ার জেরে ঠান্ডার পারদ ক্রমে নামতে থাকে। তাপমাত্রা ঘোরাঘুরি করতে থাকে ১৬-১৮ ডিগ্রিতে। সেই কারণে শীতের চরম দাপট থেকে বাঁচার জন্য জেলা জুড়ে ছোট-বড়ো বিভিন্ন কাপড়ের দোকানগুলিতে গরম পোশাক কেনার ভিড় জমাচ্ছেন আবালবৃদ্ধবনিতা।

মালদা শহরের শীতবস্ত্রের বাজার বলতে বাধ রোডের ধারে হিমালয়ান টিবেটিয়ান উলেন মার্কেটে গিয়ে দেখা গেল আবালবৃদ্ধবনিতা পাল্লা দিয়ে দামি থেকে শুরু করে কম দামি অবধি শীতের শাল, চাদর, পশমের জ্যাকেট, সোয়েটার, মাফলার, ঠান্ডা থেকে বাঁচার জন্য মাঙ্কি টুপি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু কিনতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। হাওয়া অফিসের সূত্রে জানা গেছে এবারের শীত সবচেয়ে বেশি রেকর্ড করতে পারে। আর সেই খবর জানতে পেরেই সবাই গতানুগতিকভাবে দোকানগুলিতে ভিড় করছেন। তাইতো গরম পোশাক বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিক থেকে শুরু করে কর্মচারীরা। কেউ বলছেন গত কয়েকদিনের হিমেল হাওয়াতে যে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে তাতেই গরম পোশাকের বিক্রি বেশ জমে উঠেছে। আবার অনেক দোকানে ভিড় খুবই কম। যেমন দেখা গেল মালদা টাউনহলের সামনে শীত বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির দোকানগুলিতে ভিড় অনেকটাই কম। শীত বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক গণেশ দেবনাথ জানান, শীত পড়েছে ঠিকই কিন্তু ব্যবসা সেরকম ভাবে বাড়েনি। গড়ে প্রতিদিনের বিক্রয় ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে থাকছে। অন্যদিকে হিমালয়ান টিবেটিয়ান উলেন মার্কেটের এক প্রবীণ ব্যবসায়ী পুঙ্গা জানান, এখানে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের ভীড় বিভিন্ন স্টলে উপচে পড়ছে।
তবে যে যাই বলুক শীতের আমেজে বেশ চনমনে আবালবৃদ্ধবনিতা, তাদের গরম পোশাক কেনার উত্তেজনা দেখেই তা ঠাহর করা যাচ্ছে। পাশাপাশি যে দোকানগুলিতে পোশাক বিক্রি হচ্ছে সেগুলো সঠিক দাম থাকায় মানুষ যথাযথভাবে সঠিক দাম দিয়ে তা কিনতে পারছেন। অন্যদিকে কয়েকজন দোকানদার জানান, তাদের দোকানে ছোট থেকে বড়ো সবার জন্যই বিভিন্ন দামের গরম পোশাক রয়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত গরম পোশাক রয়েছে। পোশাকের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কম্বল ও লেপ বিক্রিও।
শীত থেকে বাঁচার জন্য ফুটপাতের দোকানগুলোতেও গরম পোশাক কেনার ভিড় যথেষ্ট লক্ষনীয়, কান টুপি-হাত মোজা-সোয়েটার প্রায়ই সবকিছুর বিক্রি চলছে। শীত থেকে বাঁচার জন্য হাসি মুখে বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছেন সকলে। অবশ্য এ বিক্রির জন্য যে খরিদ্দারদের ঢল নেমেছে তাতে যারপরনাই খুশি দোকান মালিক থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানদারেরাও। জেলা জুড়ে
গরম পোশাক বিক্রি করে অনেকটাই এবার লাভের মুখ দেখছেন বলে জানান জেলার বিভিন্ন কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলি।