news bazar24: বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের দাপট । এর আগে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের কর্মীরা ভারতের দিকে ধাওয়া করে দুটি নৌকাসহ দুই বাংলাদেশি ডাকাত ও জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছিল। এরপরেও কমেনি জল দস্যুদের তান্ডপ । আর এতেই সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। এক মাঝিকে গুলি করে হত্যার পাশাপাশি জলদস্যুরা ১৯ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের কাছে । বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের গুলিতে এক জেলে নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মোকাররম মাঝি। এ সময় আরও কয়েকজন জেলে প্রাণ বাঁচাতে নৌকা থেকে সাগরে ঝাঁপ দেন। তারা এখনো নিখোঁজ। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) কুতুবদিয়া উপকূল থেকে বেশ কয়েকজন নাবিক নিয়ে ট্রলারটি সাগরে মাছ ধরতে গেলে সাগরে এ ঘটনা ঘটে।

কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আব্দুল হালিম জানান, সোনাদিয়ার পশ্চিমে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে জলদস্যুদের হাতে নিহত হন মোকাররম মাঝি। এছাড়া ট্রলারসহ আরও কয়েকজন জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে শুনেছি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালীর সোনাদিয়ার কাছে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেরা জলদস্যুদের কবলে পড়ে। এ সময় জেলেরা দ্রুত পালিয়ে যেতে চাইলে ডাকাতরা ট্রলার লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এই সময় ট্রলারের মাঝি গুলিবিদ্ধ হয়ে সাগরে পড়ে যায়। পরে অন্য জেলেরা তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়ার মগনামা ঘাটে নিয়ে আসে। এরপর তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে সমুদ্রের বাঁশখালীতে তাঁর মৃত্যু হয়।

বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, মহেশখালীর গভীর সাগরে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির মৃতদেহ বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন জেলেরা। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতর সুরতহাল রিপোর্ট করেছে । ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জেলেরা জানান, সোনাদিয়া দ্বীপ থেকে ১০-১১ কিলোমিটার পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারটি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। নিহত মোকাররমের বাড়ি কুতুবদিয়া উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আজিম উদ্দিন সিকদার পাড়ায়। তিনি উত্তর ধুরুং ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য রহিমা বেগমের স্বামী।