প্রধান শিক্ষিকার বদলে তাঁর স্বামী স্কুলে এসে ক্লাস নেওয়ায় ক্ষোভ স্থানীয়দের

news bazar24: প্রধান শিক্ষিকা মরিওম বিবি অসুস্থ। তাই স্কুলে আসতে পারছেন না। তার বদলে স্কুলে ক্লাস করাচ্ছেন প্রধান শিক্ষকের স্বামী, শাহজাহান শেখ যিনি পেশায় বৃদ্ধ চাষী ।

এমন অভিনব ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার, বড়ঞা ব্লকের খাোরজুনা, গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে বদুয়া গ্রামে । এই ঘটনার প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অভিভাবকরা।

প্রায় ২৫ বছর আগের বদুয়া বাগদী পাড়া শিশু শিক্ষা কেন্দ্র শুরু হয় চারজন শিক্ষক নিয়ে। দু’জন অবসর নেয়ায় বর্তমানে দুজন শিক্ষক আছেন। স্কুলের ৮৩ জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান এই দুজন।

অভিভাবকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা মরিওমবিবি, দীর্ঘদিন স্কুলে আসেন না। তার পরিবর্তে স্কুলে এসে পড়ান তার স্বামী শাজাহান শেখ।

স্থানীয় বাসিন্দা জ্যোৎস্না বিবি বলেন, দেখছি বৃদ্ধা স্কুলে পড়াচ্ছেন। তিনি স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বামী। নকল শিক্ষক স্কুলে পড়াবে, এটা চলতে পারে না।

অভিভাবকদের দাবি, এই বৃদ্ধা শাজাহান শেখ নির্দেশেই স্কুলে নিম্নমানের মিড-ডে মিল দেওয়া হয় । শেষ পর্যন্ত তিতিবিরক্ত হয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে আটকে রেখে  মঙ্গলবার বিক্ষোভ করেন তারা। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আটকে রাখার পর ছাড়া হয় শাহজাহান শেখকে । শিক্ষকতা করতে আসা  শাজাহান শেখ বলেন আমাকে সুপারভাইজার অনুমতি দিয়েছেন । তাই আমি শিক্ষকতা করতে সেন্টারে আসি।

অভিভাবকরা অভিযোগ করেন নিম্নমানের মিডডে  মিলের খাবার দেওয়া হয়। খাবারে গুণমান একেবারেই ভালো না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন দেড় বছর ধরে  প্রধান শিক্ষিকা সেন্টারে আসেন না। মিড ডে মিলের খাবারে বিষয়ে আমরা বলতে গেলে ওই বৃদ্ধা আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করে। ওই সেন্টারে বাথরুম আছে কিন্তু বন্ধ। জলের ট্যাপ আছে কিন্তু জল নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা। সেন্টারের ছাত্র-ছাত্রীরা জল পান করতে গেলে স্কুলের পাশের প্রতিবেশীদের বাড়িতে গিয়ে পান করতে হয়। সেন্টারে ছাদ ফুটো বৃষ্টির সময় জল পড়ে। বিল্ডিং এ ফাটাল ধরে আছে। যেকোনো সময়তে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।