জল ছেড়ে বাংলার মানুষকে এভাবে বিপদের মুখে ফেলতে পারেনা ডিভিসি তোপ মুখ্যমন্ত্রীর

Newsbazar24:বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও পূর্ব মেদিনীপুরের বন্যা কবলিত এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্বের বছরগুলোর ন্যায় এবারেও ম্যান মেড বন্যা বলে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। পরিষ্কার জানালেন, জল ছেড়ে বাংলার মানুষকে এভাবে বিপদের মুখে ফেলতে পারেনা ডিভিসি-র সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখব না! শুধু তাই নয়, বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিলেন তৃণমূল নেত্রী।
বুধবার হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক বানভাসি এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতে ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরেই। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ফের একবার বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্লাবিত এলাকার মানুষজনের সাথে কথা বললেন। তাদের অভাব অভিযোগ শোনেন। এরপরেই জেলাশাসক ও পুলিশ প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব দুর্গত এলাকার মানুষদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসতে হবে। যতদিন পর্যন্ত তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন না ততদিন রাজ্য সরকার তাঁদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করবে। যথেষ্ট ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ দেওয়া হয়েছে। কোনও অভিযোগ যেন নবান্ন পর্যন্ত না পৌঁছায়। আর যদি অভিযোগ ওঠে তাহলে কিন্তু আমি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের থেকে উত্তর জানতে চাইবো।”
নিম্নচাপের জেরে গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে আর তারপরে ডিভিসি কর্তৃক জল ছাড়ায় হুগলি, দুই মেদিনীপুর এবং বীরভূমের একাধিক গ্রাম জলের তলায় চলে গিয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন প্রচুর মানুষ। আজ ডিভিসি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাইথন এবং পাঞ্চেত থেকে মোট ৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। এর ফলে নতুন করে দক্ষিণবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা। মুখ্যমন্ত্রীর এই ম্যানমেড বন্যাকে হাতিয়ার করে সুর চড়িয়েছে বিরোধীদলগুলো। তাদের বক্তব্য প্রতিবছরই ডিভিসির জলে নিচু এলাকাগুলো বন্যা প্লাবিত হয়। এ ব্যাপারে সরকার কোনো পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে না কেন?