আরজিকর কান্ডে নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি দাহ করতে তৎপর স্থানীয় কাউন্সিলর বিস্ফোরক অভিযোগ নির্যাতিতার মায়ের

Newsbazar24:আরজিকর কাণ্ডে নিহত তরুণী চিকিৎসকের মা স্থানীয় কাউন্সিলর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আনলেন।
তার অভিযোগ জোর করে মেয়ের মৃতদেহের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে সই করিয়ে নিয়েছিলেন কাউন্সিলর। এমনই অভিযোগ তুললেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের মা। তিনি দাবি করেন, গত ৯ অগস্ট যখন মর্গে ছিলেন, থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর তাদের উপরে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন
মৃতদেহের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে সই করতে । তৃণমূল কাউন্সিলর যুক্তি দিয়েছিলেন যে তখনই মৃতদেহের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে সই না করলে ‘অনেক দেরি’ হয়ে যাবে। সেই পরিস্থিতিতে তিনি সই করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন তরুণী চিকিৎসকের মা। আর তারপরই প্রশ্ন উঠেছে যে মৃতদেহের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে কিছুটা পরে সই করলে ঠিক কোন কাজে ‘দেরি’ হয়ে যেত? সেই প্রশ্নের উত্তর দেননি তৃণমূল কাউন্সিলর। তিনি অবশ্য দাবি করেছিলেন যে কোনও তাড়াহুড়ো করা হয়নি।
তরুণী চিকিৎসকের মায়ের অভিযোগ ছিল, ‘হাসপাতালে আমাদের কাউন্সিলর জোর করিয়ে মৃতদেহের ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে সই করিয়ে নিয়েছিলেন।
আমি তখন মর্গে ছিলাম।’তিনি আরও বলেন, ‘তখন আমার আমার সাথে আমার ভাগ্নে ছিল। ও আমাকে সই করতে বারণ করেছিল । আমি বলছিলাম যে সই করব না। কিন্তু উনি বলছিলেন যে এটায় করতে হবে। এখনই করতে হবে, নাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। আমি বলছিলাম যে বাড়ির লোক এলে আমি করব। পরিবারের তরফে অবশ্য অভিযোগ করা হয়েছে যে পুলিশের তরফে তাঁদের উপরে চাপ তৈরি করে দেহ দাহ করতে বাধ্য করা হয়েছিল। ৪ সেপ্টেম্বর আরজি কর হাসপাতালে এসে তরুণী চিকিৎসকের বাবা বলেছিলেন, ‘আমরা দেহটা রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের উপরে এত প্রেশার তৈরি করা হয়েছিল। আমাদের কথা কেউ শুনছিল না।’ তিনি বলেছিলেন, ‘বাড়িতে গিয়ে দেখি যে আমার বাড়ির সামনে ব্যারিকেড করে ৩০০-৪০০ পুলিশকর্মী দাঁড়িয়ে আছেন। সেই অবস্থায় আমাদের আর কিছু করার ছিল না। আমরা মেয়ের দেহ দাহ করতে বাধ্য হয়েছিলাম।’
যদিও ওই তৃণমূল কাউন্সিলরের দাবি করেছিলেন, ৯ অগস্ট যখন তাঁরা হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন, তখন ময়নাতদন্তের জন্য তরুণী চিকিৎসকেত্তর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তারপর ময়নাতদন্ত হয়েছিল। সই করে মৃতদেহ নিয়েছিল পরিবার। তারপর শ্মশানে গিয়েও কোনও তাড়াহুড়ো করা হয়নি বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর। প্রশ্ন উঠছে তৃণমূল কাউন্সিলর কেন শ্মশানে গেলেন? কোন কিছু ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তড়িঘড়ি এই দাহ! প্রশ্ন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের।