আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, তবে শাসক দল এই আন্দোলন ভাঙতে এলে আমরা বাংলা স্তব্ধ করে দেব

Newsbazar24:ছাত্র সমাজের ডাকে আগামী মঙ্গলবার ২৭শে অগাস্ট শান্তিপূর্ণভাবে নবান্ন অভিযান। এই মিছিল বন্ধ করার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার জানিয়ে দিল মিছিলে কোন হস্তক্ষেপ নয। হাইকোর্টের রায়ের পর ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে মিছিল সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রবীর দাস, শুভঙ্কর হালদার ও সায়ন লাহিড়ী।
এদিন তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাঁদের তিনটি দাবি। এক: নির্যাতিতার সুবিচার. ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িতদের শাস্তি এবং পুলিশমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ।
রবীন্দ্রভারতীর ছাত্র প্রবীর দাস, শুভঙ্কর হালদাররা বলেন, “এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চিহ্নিত করেছেন। আরজি করের ক্ষেত্রে পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি স্পষ্ট। তাই বিভাগীয় মন্ত্রী হিসেবে ওনার পদত্যাগ চাইছি।”ছাত্র সমাজের তরফে সায়ন লাহিড়ী জানান, ২৭ তারিখ কলেজ স্কোয়ার এবং সাঁতরাগাছি এই দুটি জায়গা থেকে মিছিল শুরু হবে। শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করব।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে ছাত্র সমাজের তরফে অবশ্য পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে, “বাংলাদেশের বিষয়ের সাথে আরজিকরের ঘটনার কোন মিল নেই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করব। পুলিশ যদি বল প্রয়োগ করে তাহলে আমরা সেখানেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঠিক ঠিক করব।”
অবশ্য বৃহস্পতিবারই এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কোনওভাবেই আটকানো যাবে না বা প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। অবশ্য প্রয়োজনে রাজ্য সরকার অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে। তবে যতক্ষণ তার প্রয়োজন না পড়ছে, যতক্ষণ প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ, ততক্ষণ কোনও বাধা দেওয়া যাবে না।
এদিন ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে ছাত্রদের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। এমনকী আরজি করের আন্দোলনকারীদের মিছিলে সামীল হওয়ার আহ্বান জানান। তারা আরো বলেন, আমরা একটা অরাজনৈতিক মিছিল করছি। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা চাইলে আসতে পারেন, তবে তাঁদের বলব আপনারা রাজনৈতিক পরিচিতি ছেড়ে এই মিছিলে আসুন।