Hooghly News: চন্দননগরের আলোর জগতে নক্ষত্র পতন , প্রয়াত বাবু পাল

Newsbazar24 ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন চন্দননগরের বিখ্যাত আলোক শিল্পী বাবু পাল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।তিন বছর ধরে দুরারোগ্য ক্যানসারে ভুগছিলেন। গতকাল গভীর রাতে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে প্রয়াত হন। তার প্রয়াণে চন্দননগর সহ সমগ্র আলোর জগতে শোকের ছায়া।তার আসল নাম সুপ্রিম কুমার পাল।
চন্দননগরের আলোকে তিনি বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নানান উৎসবে ডাক পড়ত তার।

প্রতি বছর পুজো এলেই আলোর সাজে নতুন কিছু করার তাগিদে বাবু পাল তার সহকারীদের নিয়ে কর্মব্যস্ত হয়ে উঠতেন। চন্দননগরে আলোর জাদুকর বলা হয় শ্রীধর দাস কে। দেশ-বিদেশে নানা ধরনের আলোর সাজ চন্দননগরের আলোকে প্রথম বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছিলেন শ্রীধর। পরবর্তী সময়ে বাবু পাল তার নিজস্ব সৃষ্টিশীলতায় চন্দননগরের আলোকে একটা অন্য পর্যায়ে নিয়ে যান।
তিনি অমিতাভ বচ্চনের বাড়ি আলো দিয়ে সাজিয়েছিলেন, এছাড়াও দুবাইয়ে শপিং ফেস্টিভ্যাল, প্যারিস সহ নানান জায়গায়। কলকাতার শ্রীভূমি স্পোর্টিং এর পুজো থেকে একাধিক নামি দুর্গা পুজো কমিটি বাবু পালের আলোতেই সেজে উঠেছে এতদিন। স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে জানা যায় চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় বাবু পালের আলো এখনও অন্যতম আকর্ষণ। কলকা আর টুনি বাল্বের আলোর বিবর্তন ঘটিয়ে বাবু পাল প্রথম এলইডি আলো নিয়ে আসেন । প্রতিবছর সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর ওপর তৈরি তাঁর থিমের আলো সকলকে তাক লাগিয়ে
এদিন তার শেষ যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন চন্দননগর করপোরেশনের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল, কাউন্সিলর-সহ চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সদস্য ও শহরের অনেকেই। মেয়র রাম চক্রবর্তী বলেন, বাবু পাল নেই কিন্তু তাঁর কাজ থেকে যাবে। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, শিল্পীর কখনো মৃত্যু হয় না। বাবু পাল অনেক কষ্ট করে নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছিলেন। চন্দননগরে শ্রীধর দাসের হাত
শ্রীধর দাস বলেন, বাবু আমার অনেক পরে কাজ শুরু করেন। আগে লোহার ব্যবসা করত। পঞ্চাননতলায় একজনের থেকে আলো কিনে বাবু কাজ শুরু করেন। অলোক প্রামাণিকের কাছে কাজ শিখেছিলেন। তারপর নিজের চেষ্টাতেই উনি এতদূর পৌঁছেছেন। ভালো লাগে, যখন চন্দননগরের আলো মানেই বাবু পালের নাম আসে। তার চলে যাওয়াটা দুঃখের।