মথের চোখ , ক্যাকটাস থেকে সৌরকোষ বানালেন দুই বঙ্গ সন্তান ! সৌর শক্তিতে নতুন বিল্পব আসবে বলে দাবি

news bazar24 : উট কি কাঁটা বেছে খায়? সোনার কেল্লার জটায়ু ওরফে লালমোহন গাঙ্গুলির সেই বিখ্যাত উক্তি বোধহয় বাঙালি মেধাকেও উজ্জীবিত করে তুলেছে। ক্যাকটাস আর মথের চোখের গঠনশৈলী ব্যবহার করে সৌরকোষ তৈরি করেছেন দুই বাঙালি বিজ্ঞানী।

হাওড়ার শিবপুরের ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স আ্যান্ড টেকনোলজির বাঙালি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কারের বিষয় নিয়ে আলোড়ন বিজ্ঞানী মহলে। একেবারে ব্যবহার করেছেন প্রকৃতির এই দানকে।

বন্তত দুই অসম বিষয়ের সংমিশ্রণে তৈরি হয়েছে ক্রিষ্টালাইন সিলিকন। গবেষণা করতে গিয়ে তাঁরা দেখলেন, এ ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান নির্ভর সৌরকোষ তৈরির প্রধান অন্তরায় হল খরচ। তাহলে উপায়?

সৌরকোষের বেধ কমিয়ে ফেলে যদি চেষ্টাকরা যায়। এদিকটিতে মনোনিবেশ করতেই সাফল্য এল। বেধ কমানো সম্ভব হল। কিন্তু দেখা দেখলেন মথের চোখ আর ক্যাকটাস ব্যবহার করতে হবে ঘুরপথে। অর্থাৎ সৌরকোষের যে অংশ আলো শোষণ করে, সেই ক্ষেত্রটি শক্তিশালী করার জন্য একটি “আলোক সংবেদী ন্যানো স্ট্রাকচার” তৈরি করা।

অবশেষে বিজ্ঞানীরা ক্রিস্টালাইন সিলিকন ন্যানো স্ট্রাকচার তৈরি করলেন। এর ফলে ২০ মাইক্রন বেধের ওপর একটি পূর্ণ ক্ষমতা ও মাত্রাসম্পন্ন দৌরকোষ তৈরি সম্ভব হয়েছে।

যে ধরনের সৌরকোষ বিদ্যুৎ শক্তি রূপান্তরিত করে, এগুলিও কম খরচে সেই একই কাজ করবে বলে বিজ্ঞানীদের আশা। অন্যদিকে, এই বিশেষ সৌরকোষ তৈরিতে আট ভাগ কম উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে।সৌরকোষ গবেষণার ক্ষেত্রে এটি একটি দিগন্তকারী অন্যতম প্রধান অধ্যাপক নীললোহিত মুখার্জি জানান, ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা

এবং ভারতের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সোলার এনার্জির গবেষকেরাও রয়েছেন। এছাড়াও আছেন শিবপুরের আর এক বিজ্ঞানী অরিজিৎ বর্ধন রায়। সূর্যের আলো নিয়ে ভবিষ্যতে কম খরচে রিনিউয়েবল এনার্জি বা পুনর্নবীকরণ শক্তির ব্যবহার বাড়াতে এ ধরনের সোলার প্যানেল যথেষ্ট সাহায্য করবে। ফলে অদূর ভবিষ্যতে সোলার এবং বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার শুরু হলে বহু বসতে পারে। সত্যিই বাঙালি বিজ্ঞানীরা “কাঁটা বেছে”সৌরকোষ বানিয়ে ফেললেন!