এসএফআই এর রাজ্য সন্মেলন, প্রকাশ্য সমাবেশের অনুমতি না দেওয়ার অভিযোগ

Newsbazar24 আগামীকাল ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ৩৮ তম রাজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে। আগামী তিনদিন ধরে রাজ্য সম্মেলন চলবে। সম্মেলনের প্রকাশ্য সমাবেশের মাঠের অনুমতি নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ প্রশাসনের বিরুদ্ধে।প্রকাশ্য সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না অথচ জেলা প্রশাসন কোন সদুত্তর দিচ্ছেন না। শাসকদলের আঙুলহীলনে এই সব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ জেলা সিপিআই এম সম্পাদকের।পাল্টা তৃণমুলের দাবি এই মূহুর্তে কোন মাঠ ফাঁকা নেই।
ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের ৩৮ তম রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে মালদার ইংরেজবাজার শহরে।২২ তারিখ থেকে ২৪ তারিখ পর্যন্ত এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ তারিখ প্রকাশ্য সভা।সেখাণে উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন ছাত্র নেতা সিপিএমের মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, ময়ুখ বিশ্বাস, দীপ্তিমান ধর, সৃজন ভট্টাচার্য সহ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃবৃন্দের। ২২ ও ২৩ জানুয়ারি হবে প্রতিনিধি সম্মেলন। মালদহ কলেজ অডিটরিয়ামের দুর্গাকিংকর সদনে হবে সম্মেলন। ২৪ জানুয়ারি হবে প্রকাশ্য সমাবেশ। প্রকাশ্য সমাবেশের স্থান নিয়ে প্রশাসনের অসহযোগিতায় স্থান না পাওয়ার কারণে শহরের কেন্দ্রস্থল ফোয়ারা মোড়ে রাস্তার উপর সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এস এব আই।
আর এই প্রকাশ্য সমাবেশের মাঠের অনুমোদন নিয়ে টালবাহানা করছে প্রশাসন বলে অভিযোগ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্রের। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি অভিযোগ করেন পুলিশ এবং প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানানোর পরেও অনুমতি দিচ্ছেনা প্রশাসন। মাঠের অনুমতি না পেলে ইংরেজবাজার শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে প্রকাশ্য সমাবেশ করবে এসএফআই। শাসকদলের অঙ্গুলি হেলনেই এই ধরনের আচরণ প্রশাসনে দাবি অম্বর মিত্রের।
বিজেপি নেতা অম্লান ভাদুড়ী বলেন, তৃণমূলের রাজ্য সরকারের আছে।তৃণমূল ক্ষমতায় তারা একদলীয় রাজনীতি করতে চাইছে।তারা বিরোধীদের রাজনীতি করতে দিতে চাইছে না এবং বারে বার প্রশাসনকে দিয়ে দলের সভা সমিতি যাতে করতে না পারে তার অনুমতি না পায় তার ব্যবস্থা করছে।কংগ্রেস,সিপিএম,বিজেপি বলে না।যে কোন রাজনীতির দলকে সভা,সমিতির জন্য মাঠের কোনো অনুমতি দিতে চাইছে না।তারা প্রশাসনকে দিয়ে করছে।আর প্রশাসন দলদাস হিসাবে কাজ করছে।
মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দুলাল সরকার বলেন,সিপিএম এর পশ্চিমবঙ্গের কিছু নেই।সিপিএমকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।মালদা শহরের মধ্যে দুটো মাঠ রয়েছে।ফেব্রুয়ারি মাসে যেহেতু ভোট তাই জন্য সরকারি অনুষ্ঠানের জন্য দুটো মাঠই নিয়ে নেওয়া হয়েছে।স্কুলগুলো ও তাদের স্পোর্টসের জন্য মাঠ পাচ্ছে না। রাজনৈতিক ভাবে দলকে আটকানোর জন্য যে রাজনৈতিক দলের জনসমর্থন হারিয়েছে এটা নিয়ে সরকারের কোন চিন্তিত নেই।মাঠ দেওয়া যাচ্ছে না।শহরের পাশাপাশি পুরাতন মালদাতে অনেক মাঠ রয়েছে সে মাঠেও রাজনৈতিক সভা করতে পারে আসলে সিপিএম এইসব বিষয় নিয়ে বিতর্ক করছে।