Malda news:মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে অবাধে চলছে আমবাগান নিধন

Newsbazar24: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কে কার্যত বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অবাধে চলছে আমবাগান কেটে ফেলা অভিযান।
প্রায় ৩০ টা গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।বনদপ্তরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন পরিবেশ সচেতন মানুষেরা। একসাথে এতগুলো আমগাছ কেন কেটে ফেলা হচ্ছে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষেরা।
মঙ্গলবার সকালে পুরাতন মালদহের সাহাপুর ও মুচিয়া অঞ্চলের মধ্যবর্তী এলাকায় রাজ্য সড়কের দুই পাশে এবং ওই এলাকার মহামায়া মন্দির সংলগ্ন পেট্রল পাম্পের পাশে প্রকাশ্যেই দেদার গাছ কাটার অভিযোগ সামনে আসে।। বিষয় টি সামনে আসতেই সোচ্চার হন এলাকার পরিবেশ সচেতন মানুষেরা। আজিবুল আলি নামে এক ব্যক্তি যিনি এই আমগাছ গুলো কাটছিলেন তিনি দাবি করলেন আমগাছ কাটার অনুমতি রয়েছে। যদিও তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। জমির এক মালিক জানিয়েছেন আমগাছ গুলো বহু পুরনো হয়ে গেছে, তাই সেগুলো কেটে নতুন গাছ লাগানো হবে। তবে পুরানো গাছ গুলো কেটে ফেলার কোন অনুমতি পত্র দেখাতে
তিনি দেখাতে পারেন নি। কার কাছ থেকে অনুমতি পেয়েছেন সেটাও তিনি জানাতে পারেন নি। এখানে প্রায় ৩০ টির মত গাছ কাটা হবে বলে তিনি জানান।বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকজন মার্বেল পাথরের ব্যবসায়ী আমবাগানগুলি কিনে নিয়েছেন। সেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সমস্ত আমগাছ কিনে নিয়েছে এক শ্রেণির কাঠ মাফিয়া। তারপর থেকেই দেদার আমগাছ কেটে সাফ করে দেওয়া হচ্ছে। মহামায়া মন্দির সংলগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকায় দিনের আলোয় গাছ কাটা চলছে বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা বাধা দিতে গেলে কিংবা প্রতিবাদ করলে দুষ্কৃতীরা তাঁদের মারমুখি হয়ে তাড়া করছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে রাজ্য সড়কের ধারে প্রকাশ্যেই বেআইনিভাবে কাটা হচ্ছে আমগাছ। গাছ কেটে সেই বাগানগুলি ব্যবসার কাজে লাগাবেন কিছু ব্যবসায়ী বলে অভিযোগ। প্রশাসন ও বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।