‘হাসপাতাল ছেলের নামে না হলে…’, চাকরিতে যোগ দিয়েই বললেন যাদবপুরের মৃত পড়ুয়ার মা

news bazar24:
মুখ্যমন্ত্রীর কথামতো বুধবার নতুন চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হলে তাকে। অবশেষে নিরাপত্তায় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নতুন কাজ শুরু করলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত পড়ুয়া স্বপ্নদ্বীপের মা। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে গিয়ে কাজে যোগ দেবার পর তিনি বলেন, ছেলের নামে হাসপাতালের নামকরণ না হলে কাজে যোগ দেবো কিনা, ভেবে দেখতে হবে।

মৃত পরিবার পরিবার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক এর বিরুদ্ধেও একরাশ ক্ষোভ উপড়ে দিয়ে বলেন, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ইন্ধনে আমাদের হেনস্তা করা হয়েছে। কিছু সুবিধাবাদী লোক আমাদের ছেলের নামে হাসপাতালের নামকরণ করতে দিচ্ছেন না। এই প্রসঙ্গে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বীরেন মজুমদার অভিযোগ অস্বীকার করে দিয়ে বলেন, উনি এমন অভিযোগ করছেন তা আমরা বিশ্বাস করি না।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর একটা নাগাদ পুলিশি নিরাপত্তায় বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে পৌঁছান মৃত পরিবার মা। আশা কর্মীর কাজ থেকে পদত্যাগের চিঠির প্রতিলিপি সংগ্রহ করার পর তিনি কৃষ্ণনগরী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দপ্তরে গিয়েছিলেন। হাসপাতালে অ্যাটেনডেন্ট পদে কাজে যোগদান করেন মৃত ছাত্রের মা। সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

সংবাদমাধ্যমের সামনে পড়ুয়ার মা বলেন, ছেলের নামে হাসপাতাল না হলে কি করে কাজে যোগ দেবো? কিভাবে নিজেকে সান্তনা দেব? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও ওদের এত বড় আস্পর্ধা দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছি। তবে মহাকুমা শাসক আমাদের কথা দিয়েছেন। দিদির উপর ভরসা আছে।

বুধবার বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালের নাম পাল্টে রাখার কথা ছিল স্বপ্নদ্বীপ গ্রামীণ হাসপাতাল। সব প্রস্তুতি শেষ হয়ে গিয়েছিল। উদ্বোধনের অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। যথা সময় হাসপাতালে পৌঁছে যান শোকাহত পরিবার। কিন্তু আজমখাই স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মৃত পরিবার পরিবারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। মায়ের চোখের সামনেই গুগল লেপে মুছে দেওয়া হয় মৃত পরিবার নাম যা দেখে জ্ঞান হারান স্বপ্ন দ্বীপের মা।

পরিবারকে ঘিরে চলতে থাকে গালিগালাজ এবং কটুক্তি। পুলিশ এসে সব কিছু সামাল দেন। এই প্রসঙ্গে মৃত পড়ুয়ার মা বলেন, গতকালের কথা ভাবলেই আতঙ্কে আটকে উঠছি। কদিন আগেই আমরা আমাদের সন্তানকে হারিয়েছি। ওরা কিভাবে এমন কাজ করল ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি।