স্ত্রীকে খুন করার পরে অভিযুক্ত স্বামীর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি

NEWS BAZAR24:
স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর মৃতদেহটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় অভিযুক্ত স্বামী। অভিযুক্তের নাম ভোম্বল মন্ডল, যিনি তদন্তকারীদের কাছে সঠিক তথ্য না দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। অভিযোগ উঠেছে খুনের সময় আর কেউ ছিল কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়েও একাধিক বিভ্রান্তের শিকার হচ্ছে তদন্তকারীরা।

অভিযুক্ত খুনের সময় নিয়ে এক এক বার এক এক রকম কথা বলছে। কিভাবে ভোম্বল তার স্ত্রীকে খুন করেছে সেই ব্যাপার জানতে মঙ্গলবার আবার পুনর নির্মাণ করল সিআইডি। ২০২০ সালে সোনারপুরের মিশন পল্লীর একটি বাড়িতে ভাড়া থাকত টুম্পা মন্ডল এবং ভোম্বর মন্ডল।

ওইদিন দুপুরে সিআইডির মিসিং পার্সনস বুরো’র ওসি দলসহ সেখানে হাজির হন, সেখানে তাদের সঙ্গে ছিল অভিযুক্ত। প্রায় দেড়টা থেকে ঘন্টাখানেক তারা ওই বাড়িতে তদন্ত করেন। কোথায় ভোম্বল টুম্পাকে গলা টিপে খুন করেছিল সে জায়গাটাও ভোম্বল তদন্তকারীদের দেখায়।

ওই ঘর থেকে কুড়ি ফুট দূরে সেপটিক ট্যাংকে টুম্পার দেহ ফেলা হয়েছিল। তদন্তকারীরা ওই বাড়ির মালিকসহ স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন। অভিযুক্ত দাবি করেছে দিনের বেলা টুম্পার দেহ সে সেপটিক ট্যাঙ্কে ভরেছিল। তদন্তকারীরা আশেপাশের মানুষদের কাছে প্রশ্ন করেছেন যে টেনে অভিযুক্ত টুম্পার দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় কেউ দেখেছেন কিনা?

প্রশ্ন উঠছে একটি দেহ এরকম টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় কেউ দেখলো না কি করে? যদিও ভোম্বল দাবি করে জানিয়েছে, লকডাউনের সময় সমস্ত বাড়ির জানলা দরজায় বন্ধ ছিল, সেই সুযোগেই সে এই কাজটা করেছে।

তবে তদন্তকারীদের দাবি ভোম্বলের কথায় একাধিক অসংগতি রয়েছে। সিআইডির জেরায় প্রথমে ভোম্বল জানিয়েছিল, সকালে খুন করে সে দুপুরে সেপটিক ট্যাংকে দেহটি ফেলেছিল। পরে আবার দাবি করে বলে, রাতে খুন করে দিনে সেই সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃতদেহটি ভরেছিল। কখনো আবার বলছে এই ঘটনাটির দিনে সে এবং টুম্পা একসাথে মদ্যপান করছিল।

তার দাবি সেই সময় পাশের ঘরে আরও একজন ছিল। এই সমস্ত তথ্যর আসল ঘটনা জানার জন্যই আবার পুনর্নির্মাণ করা হয়। আপাতত অভিযুক্তর মোবাইল ফোন খোঁজার চেষ্টা চলছে, কারণ সেখান থেকেই বোঝা যেতে পারে খুনের সময়ে আর কেউ সেই জায়গাতে ছিল কিনা।