অতীতের কোন তিন ভুলে টলমল আজকের পাকিস্তান?

NEWS BAZAR24:
এখন বর্তমানে পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন। ইসলামাবাদ জর্জরিত হয়ে রয়েছে ঋনে। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশটির আর্থিক সংকট আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, এই বছর হজের কোটা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে হু হু করে।

কিন্তু পাকিস্তানের এই দৈনতার কারণ কি? দেশ চালাতে কেন বিদেশি ঋণের উপর ভরসা করে থাকতে হচ্ছে দেশটিকে? অর্থনৈতিক সংকটের নেপথে ইসলামাবাদ এর কোন কোন ভুল দায়ী? এই অবস্থার নেপথে অবদান রয়েছে দেশের সেনা বাহিনীর। পাকিস্তানি সংকট চললেও সেখানকার সেনাবাহিনী অত্যন্ত শক্তিশালী। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর থেকেও সেনাপ্রধানের ক্ষমতা অনেক বেশি তাই স্বাভাবিকভাবেই সামরিক খাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ ব্যয় হয়ে যায়।

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাকিস্তান দু মাসের মধ্যে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ করতে এসেছিল পাকিস্তান নিয়ে। ১৯৫৪ সালে ডগট্রিন অফ নেসেসিটি নামক রোমান আইনের মাধ্যমে পাকিস্তানি সেনা সরকারকে টপকে কিছু শাসনভার গ্রহণ করে নেয়। পরে পাক সুপ্রিম কোর্ট এই ক্ষমতা অস্বীকার করে।

সেনাপ্রধান নিজেদের ক্ষমতা বলে বারবার প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণ করিয়েছেন এবং পার্লামেন্ট তুলে দিয়েছেন। এই ক্ষমতার কারণেই দেশটিকে টানা ৩২ বছর সেনা শাসনের অধীনে কাটাতে হয়েছে। পাকিস্তানের মানুষ আজও রাজনীতির প্রতি আস্থা হারিয়ে সেনাকে বেশি ভরসা করেন। পাকিস্তান সরকারের কিছু সিদ্ধান্ততে আজ দেশের এই অবস্থা।

দেশভাগের সময় পাকিস্তান পাঁচটি প্রদেশে বিভক্ত ছিল। ১৯৫৫ সালে একটি বিল পাস করে বাংলাকে বাদ দিয়ে বাকি প্রদেশ গুলিকে একত্রিত করে পাকিস্তান। বিভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দারা পাক সরকারের এই সিদ্ধান্তে আর্থিক সংকটে পড়েন। নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয় হারিয়ে যায় কোথাও। ১৯৬০ সালে করাচি থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে স্থানান্তরিত করা হয়। বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার পরে আরো বেশি আর্থিক সংকটের সম্মুখীন হতে হয়েছিল পাকিস্তানকে।

পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সন্ত্রাসবাদীকেও দায়ী করা হয়। নিজেদের সার্বিক উন্নতির দিকে নজর না দিয়ে ক্রমাগত অন্যদেশের উপর হামলা করে আর্থিক এবং সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে পাকিস্তান। এছাড়াও পাকিস্তানের মন্ত্রীরা বারবার নিজেদের দেশের সঙ্গে বেইমানি করেছেন যার ফলে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারেই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে গেছে।।