মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করতে কি সক্রিয় ছিল পুলিশ? সংঘর্ষের পর উঠছে প্রশ্ন বিরোধীদের

গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের মার্চ মাসে বীরভূমের বহটুইয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাসে মৃত্যু হয় দশজনের। তারপরই রাজ্যের সর্বত্র পুলিশকে বোমা অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি বছরের পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন নিয়ে ফের আরো একবার ভাঙ্গরে তৃণমূল এবং আই এস এফ এর সংঘর্ষে যে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র এবং বোমার ব্যবহার দেখা গেছে তারপরেই সকলের মনে একটি প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করতে কি আদৌ সক্রিয় ছিল পুলিশ?

মঙ্গলবার বিজয়গঞ্জ বাজারে এবং কাঠালিয়া বাজারে দুই দলের সংঘর্ষে যেভাবে যত্রতত্র বোমা পরার ঘটনা সামনে উঠে এসেছে, যেভাবে রাস্তায় অজস্র ভুলের খোল এবং বোমার সুতুলি দেখতে পাওয়া গেছে তাতে আন্দাজ করা হচ্ছে মঙ্গলবার অন্ততপক্ষে পাঁচশোর বেশি বোমা পড়েছিল সেখানে।

কিন্তু এবার প্রশ্ন হলো কোথা থেকে এলো এতো বোমা? পুলিশের একাংশে দাবী অনুযায়ী, ভাঙ্গরের দুই নম্বর ব্লকের বহু গ্রামে বোমা তৈরি এখন কুটির শিল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুই নম্বর ব্লক ছাড়াও ১ নম্বর ব্লকের অনেক গ্রামেও বোমা তৈরি করা হয় এবং ভোটের আগে এই বোমা তৈরি চাহিদা আরো বেড়ে যায়। এছাড়াও রাজারহাট বাসন্তী এবং গোসাবার হাত ধরে ভাঙ্গরে প্রচুর বোমা এবং অস্ত্র আমদানি করা হয়। সব দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিরাই সেটি ব্যবহার করে বলে দাবি পুলিশের।

অতিথি ক্যানিংয়ের জিবনতলা এবং বাসন্তী গোসাবায় অস্ত্র কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল, বিহারের মুঙ্গের থেকেও অস্ত্র ঢোকে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের একাংশ মনে করছেন এখনো পর্যন্ত সমস্ত অস্ত্র কারখানার খবর পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে বিরোধীদের প্রশ্ন, পুলিশ যদি সক্রিয় থাকে তাহলে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পর ভাঙ্গরে এত বোমা এবং অস্ত্র পাওয়া গেল? মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ কার্যকর করতে যে পুলিশ ব্যর্থতা গত দুই দিনের ঘটনার ফলে প্রমাণিত হয়ে গেছে।