আবারও গাজোলে প্রাচীন মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য

Newsbazar 24 : আবারও মূর্তি উদ্ধার গাজোলে। তবে এ মূর্তিটি ভাঙাচোরা। পর পর কয়েকটি মূর্তি উদ্ধার হওয়ায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মেশিনের সাহায্যে পুকুর খনন করতে মূর্তিটি পাওয়া যায়। সম্ভবত গতকাল সন্ধ্যেবেলা মূর্তিটি পুকুর থেকে তোলা হয়েছিল। তবে দিনের আলো কমে যাওয়ায় সেভাবে মূর্তিটি কেউ লক্ষ্য করতে পারেননি। এদিন সকালে একজন গ্রামবাসী মাঠে গরু বাঁধতে যাওয়ার সময় পুকুরের পাঁক মাটির মধ্যে মূর্তিটি দেখতে পান। এরপর মাথায় করে মূর্তিটি নিয়ে আসেন তিনি। মূর্তি উদ্ধারের খবর পেয়ে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা। তারাই মূর্তিটি ধুয়ে পরিষ্কার করেন।পরে গাজোল থানার পুলিশ গিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এলাকার এক পুরোহিত এবং গ্রামবাসীদের ধারণা এটি বরুণ মূর্তি। সম্ভবত নিজের কাঁধে বিষ্ণুদেবকে তুলে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু বিষ্ণুদেবের মূর্তিটি নেই।
ঘটনাটি গাজোলের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দিঘিরপাড় গ্রামের। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ফারুক হোসেনের পুকুর সংস্কার করা হচ্ছিল। পুকুরের পাঁক মাটি তুলে এনে ফেলা হচ্ছিল জমিতে। মেসিন দিয়ে একসঙ্গে প্রচুর মাটি তোলা হয়। সম্ভবত সেই সময় মূর্তিটি উঠে আসে। এদিন সকালে মাঠে গরু বাঁধতে গিয়েছিলেন আবু সায়েদ ফারুক নামে এক গ্রামবাসী। তিনি পাঁক মাটির মধ্যে মূর্তিটি দেখতে পান। এরপর মাথায় করে মূর্তিটি গ্রামে নিয়ে আসেন তিনি। মূর্তিটি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হয়। মুক্তি উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তে প্রচুর গ্রামবাসী ভিড় জমান সংশ্লিষ্ট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গাজোল থানার পুলিশ। গ্রামবাসীদের বুঝিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে থানায়।
স্থানীয় বাসিন্দা পুরোহিত স্বপন মিশ্র বললেন, মূর্তিটি ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। সম্ভবত বিষ্ণুদেবকে ঘাড়ে করে নিয়ে থাকা অবস্থায় বরুণ দেবের মূর্তি ছিল এটি। এছাড়াও আরো কয়েকটি ছোটখাটো মূর্তি রয়েছে।তবে পুরাতত্ত্ব বিষয় নিয়ে যারা গবেষণা করেন একমাত্র তারাই সঠিকভাবে বলতে পারবেন মূর্তিটি কার। আমরা চাই মূর্তিটি কোন মিউজিয়ামে রাখা হোক।