নকল করতে বাধা , স্কুলে ভাঙচুর প্রধান শিক্ষককে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

Newsbazar 24: নকল করতে গিয়ে বাধা প্রাপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষককে মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনে ইংরেজি পরীক্ষার নকলে বাধা দেওয়ায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল পরীক্ষার্থীদের একাংশের বিরুদ্ধে। এমনকি অন্য পরীক্ষার্থীদের প্ররোচিত করতে স্কুলের টেবিল চেয়ার ভাঙচুর অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে মোথাবাড়ি থানার রথবাড়ি হাই স্কুলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্কুল চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কয়েকজন পরীক্ষার্থী স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মারধর করে বলে অভিযোগ। পরীক্ষার্থীদের একাংশের মারধরে ঠোঁট ফেটে গিয়েছে প্রধান শিক্ষকের বলে জানা গিয়েছে। এমনকি
তাঁদের বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন এক মহিলা শিক্ষিকা। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুলে পৌঁছায় মোথাবাড়ি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রথবাড়ি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সমন্বয় সরকার জানিয়েছেন মোথাবাড়ি থানার বাঙ্গিটোলা হাই স্কুলের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছে এই কেন্দ্রে। এদিন কয়েকজন পরীক্ষার্থী নকল ও একজন পরীক্ষার্থীর মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে। পরীক্ষার এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি জানতে পেরে ওই ক্লাসে গিয়ে ধরে ফেলেন। মোবাইলটি এবং নকল যার কাছে ছিল তার কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে নেওয়ায় সেই পরীক্ষার্থী উত্তেজনার সৃষ্টি করে এবং তাকে মারধর করে ওই পরীক্ষার্থীর দেখাদেখি অন্য পরীক্ষার্থীরাও উত্তেজিত হয়ে পড়ে শুরু হয় তুমুল গোলমাল।
: মোবাইলটি নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে সে বলে আমি দেব না,নকলও দেব না আপনি অন্য ঘরে চলুন আপনাকে দেখে নেব। তাকে ভালোভাবে বলি তোর কাছে যা আছে সবগুলো দিয়ে দে। সব নকল গুলো আমাকে দিয়ে দেয় এমন কি মোবাইলটাও দিয়ে দেয়। তারপর সে আর পরীক্ষা দেব না বলে এডমিট খাতা এবং প্রশ্নপত্র নিয়ে সে বাইরে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি তাকে থামাবার চেষ্টা করি। যখন তাকে বাধা দিতে যাই তখনই পিছন থেকে বাদবাকি ছেলেগুলো সব হইচই করে ওঠে আমরাও পরীক্ষা দেব না। ওরা সমস্ত টেবিল চেয়ার উল্টে দেয় এবং কাগজপত্র সব তছনছ করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ চেয়ার নিয়ে তেড়ে আসে আমাকে মারার জন্য। এমনকি দু-একজন আমার গায়েও হাত দেয়। ওদের উদ্দেশ্য ছিল পুরো পরীক্ষাটাই বানচাল করা। ওদেরকে বোঝাতে গিয়ে গিয়ে আক্রান্ত হন সান্তনা বিশ্বাস নামে এক মহিলা শিক্ষিকা। প্রশ্ন হচ্ছে এত নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কি করে মোবাইল নিয়ে স্কুলে ঢুকল। এই প্রশ্ন শিক্ষক মহলে ঘোরাঘুরি করছে।তাছাড়া অভিভাবকদেরও প্রশ্ন কিছু পরীক্ষার্থীর জন্য সবাই ভুগবে কেন।