এবার ব্রিটেনের শাসনদণ্ড অর্পিত হচ্ছে এ‌‌ক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক এর হাতে

news bazar24: এবার ব্রিটেনের কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত  ৪২ বছর বয়সি ঋষি। এক কথায় ব্রিটেনের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হয়ে  ইতিহাস রচনা করলেন ঋষি সুনক। ভাগ্য চক্রে  নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেনি মর্ডান্ট নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে যেতেই প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি নিশ্চিত হয়ে যায় ঋষির। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিব প্রীতি প্যাটেল–‌সহ কনজারভেটিভ পার্টির অধিকাংশ এমপি–‌র সমর্থন আদায় করে নেন ঋষি। প্রধানমন্ত্রী পদে ঋষিকে সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল  করেছেন প্রীতিও। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে তঁার প্রবেশ এখন সময়ের অপেক্ষা।
বলা বাহুল্য, ভারতের সঙ্গে ঋষির আজন্মের যোগ। পাঞ্জাবে জন্ম তঁার ঠাকুরদা–ঠাকুমার। এক সময় ভারতের পাঠ চুকিয়ে তঁারা  স্থায়ি ভাবে চলে যান পূর্ব আফ্রিকায়। এরপর  সেখান থেকে ব্রিটেন। ১৯৮০ সালের ১২ মে সাদাম্পটনে সুনকের জন্ম। বাবা যশবীর সুনক চিকিৎসক। মা উষা ফার্মাসিস্ট। তিন ভাই–‌বোনের মধ্যে ঋষি বড়। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রাক্তনী। এমবিএ করেছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে। শ্বশুরবাড়ির দিক থেকেও ভারতের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ঋষি। তঁার স্ত্রী অক্ষতা মূর্তি। ইনফোসিসের সহ–প্রতিষ্ঠাতা এম আর নারায়ণমূর্তির মেয়ে অক্ষতা। ঋষি–অক্ষতার দুই মেয়ে,তাই ঋষিকে ঘিরে সমস্যামুক্তির আশায় ব্রিটেন।
সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর দুটো নাগাদ ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন–‌পর্ব ঋষি ও পেনির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। নির্বাচনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দরকার ছিল ১০০ জন এমপি–‌র সমর্থন। ভোট শুরুর পর বিরাট ব্যবধানে এগিয়ে যান ঋষি। ১০০ জন এমপি–‌র সমর্থন আদায় করতে ব্যর্থ হন পেনি মর্ডান্ট। জানা যায়, ১৪২ জনের বেশি এমপি–‌র সমর্থন পেয়েছেন ঋষি। আর ২৯ জনের সমর্থন আদায় করতে পেরেছেন মর্ডান্ট। তার পরই নির্বাচনী ময়দান ছেড়ে বেরিয়ে আসার ঘোষণা করেন মর্ডান্ট। আর ব্রিটেনের অর্থনীতিকে পাকাপোক্ত ভিত্তি দেওয়ার বার্তা দিয়ে ব্রিটেনের কর্তৃত্ব নিজের হাতে তুলে নেন ঋষি।