DA Case: হাইকোর্টে ডিএ মামলার শুনানি শেষ, এবার কর্মচারীদের প্রহর গোনার পালা

Newsbazar 24:-শুক্রবার হাইকোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা তথা ডিএ মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রেখেছে। আগামী সপ্তাহে সোম থেকে শুক্রবারের মধ্যে ডিএ মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন দুটি মামলার শুনানি হয়েছে আদালতে। এর আগে হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে বকেয়া ডিএ পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু রাজ্য সরকার ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও তা না দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়। সেইসঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ওই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল।

এদিন মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, হাইকোর্টই রায় দিয়েছিল ডিএ কর্মচারীদের অধিকার। এটা কোনও দয়ার দান নয়। তাহলে রাজ্য সরকার কেন তা দেবে না? সেইসঙ্গে বিকাশবাবু আরও বলেন, মূল্য সূচকের ভিত্তিতে সমস্ত রাজ্য সরকার ডিএ দেয়। তাহলে বাংলায় কেন তা থেকে বঞ্চিত হবেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা?
পাল্টা অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, মূল্য সূচকের ভিত্তিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যে ডিএ পাওয়া উচিত তা তাঁরা পান। ফলে নতুন করে দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন , কেন সরকার মনে করছে না ডিএ বকেয়া রয়েছে। তাঁর যুক্তি, ষষ্ঠ ও সপ্তম বেতন কমিশনের
সুপারিশ রাজ্য সরকার গ্রহণই করেনি। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার বিষয়টি যখন রাজ্য সরকার গ্রহণই করেনি তখন বকেয়ার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে।

প্রসঙ্গত, এই ডিএ মামলা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল তথা স্যাট হয়ে হাইকোর্টে গিয়েছিল। কিন্তু হাইকোর্ট স্যাটের রায়কেই বহাল রেখেছে।
কিন্তু রাজ্য সরকার তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে। পাশাপাশি মামলাকারীদের পক্ষ থেকে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে।এখন আদালতের রায়ের প্রহর গোনার অপেক্ষা।
স্বাভাবিকভাবেই এডভোকেট জেনারেলের এই যুক্তিকে খন্ডন করেছেন কর্মচারীদের একাংশ তাদের বক্তব্য যদি ষষ্ঠ এবং সপ্তম কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ না করে তবে ৩% দিয়ে কি করে দেওয়া হল।