Tuesday , 6 September 2022 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

Malda:ফুলহর নদীত জল বাড়ার ফলে ভাঙ্গনের আতঙ্কে দিশেহারা হয়ে বিক্ষোভে এলাকা বাসী

প্রতিবেদক
kartik pal
September 6, 2022 1:03 am

Newsbazar24:-বিহার থেকে আসা গঙ্গার জলে ব্যাপক ভাবে জল বেড়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ফুলহর নদীর। জলবাড়তেই নদীর দক্ষিণ প্রান্তে থাকা উত্তর এবং দক্ষিণ ভাকুরিয়া এলাকায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলের তলায় চলে গিয়েছে। পুজোর প্রাক্কালে ভাঙ্গনের আতঙ্কে কার্যত দিশেহারা এলাকাবাসী। কয়েকশো বিঘা ধান এবং পাটের জমি নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। দ্রুত জল বেড়ে যাওয়ায় সেই পাট বা ধান কাটার সুযোগ পাননি স্থানীয় গ্রামবাসীরা। এদিকে ভাকুরিয়া এলাকাযর রিং বাঁধে ফাটল ধরে গিয়েছে এবং সেই ফাটল দিয়ে হু হু করে ভেতরে জল ঢুকছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এলাকার বাসিন্দাদের আরো অভিযোগ দীর্ঘ কুড়ি বছরের বেশি সময় ধরে ফুলহারের জল বাড়লে চরম দুর্দশায় পড়তে হচ্ছে ভাকুরিয়া এলাকার বাসিন্দাদের। নেই পানীয় জল খাবার বিদ্যুৎ এমনকি এলাকায় থাকা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে মিলছে না কোন ওষুধ। চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য কোন চিকিৎসক বা আশা কর্মীদেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। চারিদিকে জল। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো এলাকায় দুর্বিষহ দিন কাটাচ্ছেন ভাকুরিয়া বাসী। সমানে ফুলহর নদী থেকে জল ভাকুড়িয়ায় প্রবেশ করে চলেছে। যে কোনো মুহূর্তে জলের তলায় চলে যাবে বেশ কয়েকটি গ্রাম। কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রশাসনিক কর্তা দূর দেখা মেলেনি কোন জন-প্রতিনিধির।
সোমবার তারা এলাকায় বিক্ষোভ পর্যন্ত দেখিয়েছেন।বাসিন্দাদের অভিযোগ দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে এই অঞ্চলের একই অবস্থা হয় প্রতিবার বর্ষাকালে। পানীয় জল,পশু খাদ্য, শিশু খাদ্য এমনকি ওষুধ পর্যন্ত পাওয়া যায় না। জল বাড়লেও প্রশাসনের নৌকার ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি এখনো পর্যন্ত। অবস্থা এতটাই খারাপ যে এলাকার কেউ অসুস্থ হলে এমনকি গর্ভবতী নারীদেরকে সদর হরিশচন্দ্রপুর এলাকার কোন হাসপাতালে নিয়ে যেতে গেলে নৌকার অভাবে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। ফলে বিনা চিকিৎসাতে ভগবানের ভরসায় থাকতে হচ্ছে মরণাপন্ন রোগীদের।
পাশাপাশি আরো অভিযোগ প্রতিবার ভোট আসলে জন-প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছুটে। এখন মন্ত্রী বিধায়ক থেকে সাংসদ কারো দেখা মিলছে না এই দুর্বিষহ পরিস্থিতির মধ্যে। ভাই বাধ্য হয়ে সোমবার এলাকায় জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন গ্রামবাসীরা। খাওয়ার জল ওষুধ না পেয়ে কার্যত মন্ত্রী এবং সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ভাকুরিয়ার বাসিন্দারা। তারা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই নদী পার্শ্ববর্তী রিং বাঁধে তিন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। গতবছর ই এই বাদ মেরামত করার জন্য ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে। কিন্তু কোন রকম পাইলিং বা মাটি ভরাট পর্যন্ত করা হয়নি বলে দাবি এলাকার বাসিন্দা দের । তাই এবার জল বাড়তেই আবার ওই ফাটল দিয়ে গ্রামের ভেতরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। কিন্তু এখনো অব্দি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ উদ্যোগ দেখা যায়নি প্রশাসনিক মহল থেকে। এদিকে মালদা সেচ দপ্তর জানিয়েছে ফুলহরের জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। এই ফুলহরের জলের উচ্চতা ২৭ দশমিক ৫০ মিটার উপর দিয়ে বইছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্যে ,প্রচন্ড সমস্যার মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে গ্রামবাসীদের। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। হাসপাতাল আছে কিন্তু ডাক্তার নার্স আসতে পারছে না। কেও অসুস্থ হলে পর্যাপ্ত ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এইভাবে থাকা যায় না। প্রায় ৩০-৩৫ বছর ধরে নদী ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত উত্তর ভাকুরিয়া। কিন্তু ভোটের সময় ছাড়া নেতা জন-প্রতিনিধিদের দেখা মেলে না। না সংসদ আসে না আসে বিধায়ক। আমাদের কথা কেউ ভাবে না। নদীর জলে হাজার হাজার বিঘা জমি চলে গেছে। আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে একটা দ্বীপের মধ্যে বসবাস করছি। কিন্তু কোন জন-প্রতিনিধিদের দেখা মিলছে না। কোন গর্ভবতী মহিলাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকা নেই। কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসা করাতে প কুড়ি পঁচিশ বছর ধরে নদী গর্ভে গ্রাম তলিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু কোন সরকার আমাদের জন্য ভাবছেনা কাজ করছে না। ভোটের সময় আসে ভোট ফুরোলেই ভুল ভুলে যায়।
উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, একমাত্র শুধু আমরাই ঐ গ্রামে গেছি। আমি নৌকো করেও গেছি অন্য সময়তেও গেছি। এই রাজ্যের শাসক দল কাটমানি ছাড়া কোন কাজ করে না। বন্যা দুর্গত মানুষদের সাহায্যার্থে জেলাশাসককে সর্বদলীয় বৈঠক
ডাকার জন্য অনুরোধ করেছি।
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তবারক হোসেন বলেন, আমরা এই খবরটি শুনতে পেয়েছি। খুব দ্রুত আমাদের জনপ্রতিনিধিরা ওই গ্রামে যাবে। তাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে। বিডিও অফিসে আপাতত যেটুকু ত্রাণ আছে সেই ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে। যা করার আমরাই করব। বিজেপির সাংসদ পরিযায়ী সাংসদ উনি কিছু করতে পারবেন না।
নদী ভাঙ্গন সমস্যা মালদা জেলার দীর্ঘ দিনের সমস্যা। কিন্তু বারবার কেন্দ্র-রাজ্য তরজার মাঝে পড়ে এই সমস্যার সমাধান হয়নি। নদী ভাঙ্গান সমস্যার জেরে কার্যত বিচ্ছিন্ন একটি গ্রাম। সরকার বা প্রশাসনের কাছ থেকে তারা তাদের ন্যূনতম পরিষেবা টুকু পাচ্ছে না। প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধির রাজনৈতিক তরজা ভুলে কতদিনে টনক নড়ে তাই দেখার বিষয়।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - কৃষি ও ফুল বাগান

আপনার জন্য নির্বাচিত

Malda:জেলায় তৃণমূলের ভরাডুবির জন্য জেলা নেতৃত্বকেই কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল সাংসদ মৌসুম নূর

নির্যাতিতার ময়না তদন্তের রিপোর্টে পাশবিক অত্যাচারের নমুনা, বহু প্রশ্ন সামনে উত্তর পাওয়া যাবে কি?

Siliguri news:নিষিদ্ধ কাপ সিরাপ ও প্রচুর নগদ টাকা সহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার

চলেছে প্যারা অলিম্পিক্সের উদ্বোধন, প্যারা অলিম্পিয়ানদের শুভেচ্ছা বার্তা প্রধানমন্ত্রীর, কি বললেন?

ফের কোপ শিয়ালদহ শাখার ট্রেন পরিষেবায়। বাতিল করা হয়েছে ৫৬টি লোকাল ট্রেন

Malda news:মালদা জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সাংগঠনিক সভা*

U.Dinajpur news :মেঘনাদ সাহা কলেজের উদ্যোগে পালিত হলো বিশ্বসংস্কৃত দিবস ও রাখি বন্ধন

Malda news:খাদ্য ও সুরক্ষা দপ্তরের বিশেষ অভিযানে পাঁচটি জল কারখানা,ও মিষ্টি দোকান বন্ধ

Siliguri news:এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ

ফায়ার অপারেটর নিয়োগ দুর্নীতিতে পিএসসি-কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা হাইকোর্টের