পূজা পেলো গজানন! শুঁড় উঁচিয়ে ‘আশীর্বাদ’ও দিলো গজাননেরা, বিশ্বকর্মা পুজোর দিন এমনই প্রথা ডুয়ার্সে

news bazar24: পূজা পেলো গজানন। শুঁড় উঁচিয়ে ‘আশীর্বাদ’ও করেদিলো গজাননেরা । পূজা পাবার আনন্দও ঘন ঘন ডাকও দিলো । মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ডুয়ার্সে তাঁর বাহন (বাহন) হাতিকেও পুজো করার প্রথা দীর্ঘ দিনের । আর সেই প্রথা মেনে প্রতি বছরই ভক্তিভরে পালন করা হয় এই ঐতিহ্য। গরুমারা জাতীয় উদ্যানে বিগত বছরের মতো এবারও এই পূজার আয়োজন করা হয়। যেখানে বনকর্মীদের সাথে যোগ দেন পর্যটকসহ বনবস্তির বাসিন্দারা। শুধু কি পূজা ? একেবারেই নয়, পুজো উপলক্ষে হাতিদের জন্যও ছিল বিশেষ মেনু। বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গরুমারা বন্যপ্রাণী বিভাগের গরুমারা বিট, ধুপঝোরা বিট ও বুধুরাম বিটের মোট ২৮টি কুনকি হাতির পূজা করা হয়েছে।

আজ সকাল থেকেই এই পূজাকে ঘিরে মাহুতরা খুব ব্যস্ত ছিল। মেটেলি ব্লকের দক্ষিণ ধুপঝোড়ার এলিফ্যান্ট ক্যাম্প গাছবাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জেনি, বসন্ত, ফুলমতি, মাধুরী, বিজয়া ও বাকি বিজয়া-সহ বাকি পোষ্য কুনকিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে নদীতীরে। নদীর জলে ভালো করে স্নান করানো হয়েছে হাতীদের । তারপর হয় সাজানোর কাজ । প্রতিটি হাতির গলায় মালা পড়ানো হয় এবং খড়ি মাটি দিয়ে নাম লেখা হয়। পুরোহিত সাড়ম্বরে তাদের পূজা করেন। শঙ্খধ্বনিতে ভরে উঠে জঙ্গলের আকাশ বাতাস । পুরোহিত মন্ত্র উচ্চারণ করে পূজা পাঠ করেন। পূজা শেষে হাতির মুখে আঁখ, কলা ও অন্যান্য ফল দেওয়া হয়। আর এই খেয়েই তাদের মুখে তৃপ্তির ছাপ ফুটে উঠে।

ডুয়ার্সের এই বিশেষ দিনে পুজোর জায়গায় বহু পর্যটক ভিড় করেন। অনিতা দাস নামে এক পর্যটক জানান, এই পূজা উপলক্ষেই তিনি কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন। এই পূজা উৎসব দেখে উচ্ছ্বসিত সে । তাঁর কথায়, ‘খুব ভালো লাগলো। এই প্রথার কথা অনেকদিন ধরেই শুনে আসছি। আজ দেখলাম।’ একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথাগুলো শুনল ফুলমতি। পাশের বাড়ির লোকজনকে বলছে! তাহলে মাধুরী কেন সরে গেল?