ওরা সুখের লাগি চাহি প্রেম

আমাদের চাহিদার সীমা ছাড়িয়ে হিমালয় থেকে আরো আকাশ ছুঁতে চাই তবুও যেনো চাহিদার শেষ নেই।তবে এটা কি সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।তা ঠিক নয়।যদি কখনো আপনি তাদের কাছে যান যাদের দৈনিক আয় মাত্র একশত টাকা তাদের ইচ্ছের কথা যদি জানতে চান।তারা কি বলবে চলুন একটু শোনার চেষ্টা করি।আমি দিনাজপুর জেলার চুন্দুরিয়া
গ্ৰামে ধনুক নামে একটা বয়স্ক মহিলা শাক তুলতে এসেছেন বহুদূরে তার বাড়ি হতে।সেখান থেকে সে শাক বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। প্রতিদিন তার আয় একশত থেকে সামান্য কিছু।সে বোর্ডের বাজারে দশ টাকা কেজি দ্বরে বিক্রি করে।যার মূল্য অনেক কম। শুধু ধনুক নয় গীতা নামে এক বয়স্ক মহিলার সাথে কথা হয় তার ও একই মতামত সে খুব কম দামে বহুদূর থেকে শাক তুলে এনে কম দামে বিক্রি করে। কিন্তু তাকে যখন তার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সাহায্যে জন্য বলা হয় সরকারি সেবা পেতে তখন তিনি নারাজ ।কারন চেয়ারম্যান সঠিক পরিসেবা দেয় না।তাহলে আজ দেশের রাজনীতি কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে।যেখানে সেবা পাবে এদেশের হতদরিদ্র মানুষ সেই সেবা লুট করছে ঐ
এলাকার প্রশাসন। তবে মানুষের মধ্যে থেকে আজ মানবতা উঠে গেছে।এই যে দুই ভদ্র মহিলার কথা তুলে ধরলাম এনাদের মতো অনেক মানুষ ই এইভাবে কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছে তাদের শখ করে আইফোন কিনতে ইচ্ছে করে না তাদের সুখের জন্য অল্প কিছুতেই সন্তুষ্ট হয়।তাহলে সেই সন্তুষ্ট যাইগা
থেকে কেনো আমরা বিতাড়িত করব।আজ দেশের রাজনীতি আরো দেখা যায় সেই দলের ধনী ব্যক্তিরা ও সরকারি সেবা পাচ্ছে কারন‌ সে যতই ধনী হোক না কেন সে এই সেবা নিবে এই জন্য কারণ সে সেই দলকে নির্বাচনে জয় এনে দিয়েছে।

ধনীর রাজে সবাই ধনী
ওরে আমরা কেনো অসৎ
এই রাজ্যে সবাই চোর
চলো আমারও করি চুরি
এই কান্ডারীর সমস্ত সম্পদ
লুট করিয়াছে এই ধনীর দুলাল
তারপরও তারা চোর নহে
চোর হলো এদেশের হতদরিদ্র পরিবার
ভোগ করিয়া হয়েছে সে রাজা
শোষন, অন্যায়, দুর্নীতির
শিকার হয়েছি আমরা
চোর বলে কেহ নাই এদেশে
তবুও তারা সাধুর সঙ্গে
জনসেবা করছে দেশের জন্য
ওরা অভিনয় ভালো করে
তবে থিয়েটারে নয়
দেশের লাগি রাজনীতিতে

সৌরভ হালদার

মানুষ কে ভালোবাসার জন্য যে রাজনীতির কথা জনসেবায় দেয় বক্তব্য সে আবার সুখের লাগি কেনো মানুষকে করে ভয়।