Malda news:আইসিএসই পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে দ্বিতীয় মালদহের তৃষা বিহানি

Newsbazar 24: আইসিএসই পরীক্ষায় সর্বভারতীয় স্তরে সাফল্য মালদহের তৃষা বিহানির , খুশির উচ্ছ্বাস বিদ্যালয়ে ও তার পরিবারে। আইসিএসই পরীক্ষায় মেধা তালিকায় মালদহের ছাত্রী। ৪৯৮ নম্বর পেয়ে সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় এ রাজ্যের ৫ জন জায়গা করে নিয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছেন মালদহ জেলার মালদহ শহরের ইংরেজবাজার পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশ মাটির ছাত্রী তৃষা বিহানি।
মালদহ শহরের নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ একাডেমির ছাত্রী তৃষা বিহানি। ৫০০’র মধ্যে ৪৯৮ পেয়ে সর্বভারতীয় স্তরে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে মালদহ জেলায় প্রথম স্থান দখল করেছে। তার সাফল্যে উচ্ছ্বাস স্কুলেও। স্কুলের তরফে সম্বোর্ধনা দেওয়া হবে তৃষা সহ বিদ্যালয়ের সেরা পড়ুয়াদের।
নর্থ পয়েন্ট ইংলিশ একাডেমির রেক্টার ভাস্কর ব্যানার্জি জানান, ‘সর্বভারতীয় স্তরে আইসিএসসি পরীক্ষায় তৃষা দ্বিতীয় স্থান লাভ করেছে তার এই সাফল্য আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ওর পাশাপাশি আমাদের বিদ্যালয় থেকে মাহি শা চতুর্থ স্থান লাভ করেছে। তৃষা পেয়েছে ৯৯.৬০ শতাংশ নম্বর পাশাপাশি মাহি পেয়েছে ৯৯.২০ শতাংশ। তিনি আরো বলেন তাদের এই সাফল্যের পিছনে বাড়িতে পরিবারে যেমন বাবা মায়ের ভূমিকা রয়েছে তিনি বিদ্যালয়ে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। তাদের এই সাফল্যে আমাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ও খুব খুশি। ওই দুই কৃতি ছাত্রী বর্তমানে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন তাদের পড়াশোনার কাজে তারা মালদায় ফিরলে তাদেরকে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে। স্কুলের তরফ থেকে।
তৃষার বাবা রাকেশ বিহানি পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং মা নিশা বিহানি গৃহবধূ। তাদের বাড়ি মালদহ শহরের ইংরেজবাজার পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহেশ মাটি এলাকায়। তৃষার বাবা রাকেশ বিহানি জানান, মেয়ের পড়াশোনার ব্যাপারে মা সবচেয়ে বেশি নজর রাখত। দিনে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পড়াশোনা করত তৃষা।
তার এই সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে তার মায়ের। পাশাপাশি স্কুলে তার শিক্ষক শিক্ষিকারাও এর অংশীদার । আগামী দিনে তৃষার ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।বর্তমানে তৃষা রাজস্থানে ডাক্তারি পরীক্ষায় বসার জন্য প্রস্তুতিতে ব্যস্ত আছে।
তৃষা জানিয়েছে, “বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাই। এখন থেকেই প্রস্তুতির জন্য আমি রাজস্থানের কোটাতে আছি। নেওয়া শুরু করেছি। আমার এই সাফল্যের পেছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব আমার মায়ের।”