news bazar24 :
গাঁদা ফুল অতি লাভজনক একটি শীতকালীন ফুল।তবে সারা বছর এর ব্যবসায়ীক চাহিদা থাকলেও বাড়ির বাগানের শোভা বর্ধন করতে কিংবা ছাদের ফুল গাছের শোভা বৃদ্ধি করতে অনায়াসে করতে পারেন গাঁদা ফুলের চাষ।
গাঁদা গাছের উপকারিতাঃ-
গাঁদা ফুলের জন্য উপযুক্ত সার-মাটি –
গাঁদা ফুলের জন্য প্রয়োজন এঁটেল দো-আঁশ মাটি। তবে মাটিতে যেন কোনভাবেই না জল জমে থাকে।টবে গাঁদা চাষ করলে আউট লাইনের ছিদ্র গুলোর মুখ খোলা রাখতে হবে।ছাদে বা টবে যেখানে উপযুক্ত সূর্যের আলো পড়ে সেখানে গাঁদা গাছ চাষ করতে হবে।
কিভাবে চাষ করতে হবে ?
১) সবার আগে নার্সারি থেকে কোন ভাল জাতের গাঁদা চারা কিনে আনতে হবে।
২) এঁটেল যুক্ত দোআঁশ মাটি, এক বছরের পচানো গোবর সার, পাতা পচা সার, ভার্মি কম্পোস্ট, কোকোপিট ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে মাটি প্রস্তুত করে রাখুন।
৩) ১০ ইঞ্চির একটি টব নিতে হবে। টবের নিচে ফুটোর জায়গাটি খোলামকুচি দিয়ে চাপা দিয়ে তার ওপরে ছোট ছোট কাঁকড় এবং বালি দিয়ে ভরাট করে দিতে হবে। অতিরিক্ত জল সহজে বেরিয়ে যেতে পারে।
৪) শীতকালীন গাঁদা ফুল গাছ অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে টবে লাগাতে পারেন। চারা কিনে এনে টবের মাটিতে রোপন করে বেশ খানিকটা জল দিয়ে দিতে হবে। প্রথম কয়েক দিন চারা কে হালকা ছায়াযুক্ত স্থানে রেখে দিতে হবে। নিয়ম করে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে। আর প্রতিদিন জল দিতে হবে। ১০ দিন অন্তর অন্তর সরষের খোল পচা জল দিতে হবে।
৫) জল ভোরবেলা এবং সন্ধ্যাবেলায় দিতে হবে। প্রচণ্ড রোদে জল দিলে চারার ক্ষতি হতে পারে। টবে গাঁদা ফুল চাষ করলে মাঝেমধ্যেই গাছের ডালপালা কেটে দিতে হবে। তাতে গাছ ঝাঁকড়া হবে এবং গাছে বড় বড় ফুল দেখা দেবে।
৬) গাঁদা গাছে নানান রকম রোগ দেখা যায়। তার মধ্যে একটি অন্যতম হলো গাঁদা ফুলের কান্ড পচা রোগ। এর জন্য চারা রোপণের আগে টবের মাটি কে ভালো করে রোদ খাওয়াতে হবে। গাঁদা ফুলের পোকার আক্রমণ নেই বললেই চলে তবে অনেক সময় জমিতে শামুকের আক্রমণ হয়। এরজন্য জমিতে খানিক চুন ছিটিয়ে রাখুন।
আপনি যদি এই রকম নিয়ম মেনে গাঁদা ফুলের চাষ করতে পারলে ৮০ দিনের মধ্যেই চারা থেকে ফুল পাবেন।