সিনেমার জগতে বাম নেতা !তাঁর প্রথম পরচালিত ছবি মুক্তির অপেক্ষায়

 বরুন ঘোষদস্তিদার (news bazar24) :  তাঁর জীবনে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বিএফজিএ পুরস্কার এবং পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার প্রাপ্তি সহ ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী দিয়ে সম্মানিত করেছে। তিনি একজন মহান পরিচালক। তিনি পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন। তিনি বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম মাইলফলক। .

আর এই বিশেষ বঙ্গ সন্তানকে কে নিয়ে এবার সিপিএম নেতা শতরাপ ঘোষ তার জীবনের উপর একটি ডকুমেন্টারি বানাচ্ছেন, ছবির শুটিং শেষ , এখন বাকি খালি  সম্পাদনার । তার পরেই ছবিটি মুক্তি পাবে, তার ভক্তরা এই তথ্যচিত্রের জন্য অপেক্ষা করছেন, তবে শতরাপ ঘোষ এখনো তারিখ প্রকাশ করতে চান নি। ছবির বিষয় নিয়েও কিছু বলেনি

ইনি কে?

বিখ্যাত পরিচালক তরুণ মজুমদার । জন্ম বাংলাদেশের বগুড়ায়।কিন্তু তিনি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন।বলাবাহুল্য, চলচ্চিত্র শিল্পের অন্যতম ব্যক্তিত্ব তরুণ মজুমদার তার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বাঙালি সমাজ ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করে গেছেন। তিনি বিমল কর, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সাহিত্যকর্মকে বড় পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন।

এবার এই মহান ব্যক্তির  ডকুমেন্টারি বানাতে চলেছেন শতরূপ ঘোষ।তিনি সমাজের ভেতর থেকে গল্প তুলে চলচ্চিত্র নির্মাণ করতেন।উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেন তাকে সহকারী পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে উৎসাহিত করেছিলেন। এরপর উত্তম কুমার ও সুচিত্রা সেনকে নিয়ে তৈরি করেন ‘চাওয়া-পাওয়া’।

তবে এই ছবির পর মহা নায়ককে তাঁর তৈরি করা কোন ছবিতে দেখা যায়নি। এই প্রথম তথ্যচিত্রে তরুণ মজুমদার এর ব্যাখ্যা করেছেন কেন তিনি এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর শতরূপ ঘোষ এই তথ্যচিত্রে এই সব তুলে ধরে ছবির নাম দিয়েছেন ‘জীবনপুর পথিক’। টলিউডে তার প্রথম প্রবেশ এই তথ্যচিত্রের মাধ্যমে, শতরাপ বলেন, “একটি তথ্যচিত্রে তরুণ মজুমদারের মতো একজন পরিচালকের জীবন চিত্রিত করতে পেরে আমি খুবই ভাগ্যবান।”

শতরূপ ঘোষ কেন রাজনীতির পাশাপাশি সিনেমা জগতে প্রবেশ করলেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি আমার রক্তে মিশে আছে। কিন্তু আমি মহান তরুণ মজুমদারের উপর একটি তথ্যচিত্র বানানোর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি, তাই তিনি যখনই আমাকে অনুমতি দেন, আমি বিনা দ্বিধায় কাজ শুরু করি।”