Tuesday , 19 November 2024 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন বীরভূমের রাজনগর গ্রামের নবান্ন উৎসব

প্রতিবেদক
kartik pal
November 19, 2024 3:06 pm

Newsbazar24:বর্তমান সমাজে যখন চারপাশে চলছে ভয়াবহ অস্থিরতা ও অসহিষ্ণুতা, তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত মিলেছে বীরভূমের রাজনগরে। রাজনগরে এক মুসলিম দরগায় নবান্ন উৎসব পালন করলেন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন। জানা যায় প্রতি বছরের মতো এবারও রাজনগরের কাদাকুলি গ্রাম সংলগ্ন মীর সাহেবের দরগাহ শরীফে সম্প্রীতির নিদর্শন হিসেবে হিন্দু মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে এবং প্রথা মেনে ১লা অগ্রহায়ণ এখানে নবান্ন উৎসব পালন করে। এবছরও তার অন্যথা হয়নি। নতুন ধানের অন্ন যাহা ‘নবান্ন’ । প্রাচীন হিন্দু রীতি অনুযায়ী, ধান মাঠের ঈশান কোন থেকে আড়াই মুট ধান কেটে, তাতে গঙ্গাজল-সিঁদুর মাখিয়ে, ধূপ-ধুনো দিয়ে কাপড়ে মুড়ে মাথায় করে, পায়ে হেঁটে বাড়িতে আনা হয়। স্থানীয় ভাষায় যাকে ‘মুট আনা’ বলা হয়।
সেই মুট বাড়িতে লক্ষ্মীর থানে রেখে পুজো দিয়ে মুটের সেই ধান থেকে মিষ্টান্ন বানানো হয়। সেই মিষ্টান্ন মীর সাহেবের দরগায় নিয়ে গিয়ে প্রসাদ হিসেবে অর্পণ করা হয়। মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও এদিন মীর সাহেবের দরগায় এসে চাদর চড়ান ও শিন্নি দেন। রাজনগরের হিন্দু মুসলমান ভাইরা একসাথে মিলেমিশে সম্প্রীতির নবান্ন পালন করেন।রামের সাথে রহিমকে এখানেই মিশতে দেখা গেল। এদিন মীর সাহেবের দরগা চত্বর এদিন সম্প্রীতির মহামিলন ক্ষেত্র হয়ে ওঠে।
স্থানীয় দত্ত পরিবারের এক প্রবীণ সদস্য জানান, প্রায় পাঁচশ বছর আগে তাদেরই এক পূর্বপুরুষের সময়ে মীর সাহেব কাদাকুলি ও মালিপাড়া গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় আসেন। মীর সাহেব সুফি সাধক হিসেবে এখানে আশ্রয় নেওয়ায় এলাকার বহু মানুষ তার ভক্ত হয়ে পড়ে।এই গ্রামের দত্ত পরিবার এই সুফি সাধকের ভক্ত হয়ে পড়েন এবং তিনি মীর সাহেবকে সেখানে বেশ কিছু জায়গা দান করেন। সে সময় মীর সাহেব এলাকার সাধারণ মানুষদের আর্থিক দূরাবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণ করতে থাকেন। মীর সাহেব ওই মসজিদ নির্মাণকারী মিস্ত্রি ও কর্মচারীদের বেতন দিতেন। মীর সাহেব কোথা থেকে বেতন দিতেন এ নিয়ে সবাই ধন্ধে ছিলেন রাজা সহ। সন্দেহ হওয়ায় রাজা তাকে সে সময় বন্দীও করেন। কিন্তু তারপরেও তার মসজিদ নির্মাণের কাজ থেমে থাকে নি। তার এই অলৌকিক ক্ষমতা দেখে রাজা তাকে মুক্তি দেন। দত্ত পরিবারের কাছ থেকে তিনি নিজের সমাধি নির্মাণের জন্য মসজিদের পাশেই একটি জায়গা নেন এবং পরবর্তীতে সেখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয় বলে জানা যায়।এরপর দত্ত পরিবার ওইখানেই একটি ধান জমি থেকে পায়েসান্ন তৈরি করে তার সমাধিতে অর্পণ করেন পয়লা অগ্রহায়ণ। এবং তখন থেকেই এখানে নবান্ন উৎসব চলে আসছে বলে জানা যায়। এই নবান্ন উৎসব ঘিরে এখানে ছোটখাটো একটি মেলা ও অনুষ্ঠিত হয়।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - মালদা

আপনার জন্য নির্বাচিত

ছাগল পালনে ভালো লাভের মুখ দেখছে বসিরহাটের যুবক

’চাইল্ড ফ্রেন্ডলি পুলিশ কর্নার দখল করে রেখেছে থানা, যা কয়েক বছর আগে ঘটা করে উদ্বোধন করেছিলেন এক IPS অফিসার

ঘূর্ণিঝড়ে জলপ্লাবিত এলাকা পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ত্রান কার্যে ভারত সেবাশ্রম সংঘ

পাঁচিল টপকে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকল এক ব্যক্তি।

শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা

টবে গাছ লাগানোর নিয়ম নীতি ও প্রস্তুতি

প্রয়োজনে টাকা লোন নিতে বাজারে এলো নতুন “আই সার্ভ ফিনান্সিয়াল”-মোবাইলআপ

আগামী ২১ সাল বিজেপির হাত ধরে বাংলায় পরিবর্তন আসবেঃ বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি

বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে অগ্নিগর্ভ মানিকচকে পুলিশের গুলি, পুলিশের উপর হামলা, গুলিবিদ্ধ দুই, আহত ৪ পুলিশ কর্মী

প্রায় ৬০০ জন বাংলাদেশীর ভারতে ঢোকার চেষ্টা ! জলপাইগুড়ি সীমান্তে আটকালো বি এস এফ