Wednesday , 3 July 2024 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

সংকটের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুরের ঐতিহ্যবাহী মাদুর শিল্প, সরকারি সাহায্যের কাতর আর্তি

প্রতিবেদক
kartik pal
July 3, 2024 5:21 pm

Newsbazar24:অবলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার মাদুরশিল্প। চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে সমস্যার মধ্যে পড়েছেন শিল্পীরা। তাঁরা এখন সরকারের মুখ চেয়ে রয়েছেন।
বাড়িতে অতিথি এলে ঘরের দাওয়ায় মাদুর পেতে বসিয়ে সেবা-যত্নের রেওয়াজ গ্রামবাংলার ঘরে ঘরে। অতিথিকে মাদুরে বসিয়ে জল বাতাসা দিয়ে আপ্যায়নের রীতি দীর্ঘদিনের। আজও গ্রামবাংলায় সেই রীতি দেখা গেলেও, হাতে বোনা মাদুরের জায়গা নিয়েছে প্লাষ্টিকের মাদুর।
প্লাষ্টিকের মাদুরের দাপটে প্রায় অবলুপ্তির পথে গ্রামবাংলার প্রাচীন এই কুটির শিল্প।

প্লাস্টিকের তৈরি মাদুর


বর্তমানে বাজারে হাতে বোনা মাদুরের চাহিদা ক্রমশ কমে যাওয়ায় মাদুর শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়েছে যুক্ত থাকা একাধিক পরিবার।
মাদুর শিল্পের করুন পরিস্থিতির ছবিটা দেখা গেল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী ব্লকের কুশকারী এলাকার পীরপুকুর গ্রামে৷এই প্রায় শতাধিক পরিবার।

দক্ষিণ দিনাজপুরের গ্রামে মাদুর শিল্পীরা ব্যস্ত মাদুর তৈরির কাজে


বংশপরম্পরায় আজও মাদুর কাঠি চাষ ও মাদুর তৈরি করে চলেছেন।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী পঞ্চায়েত সহ ব্লক এলাকার বিভিন্ন জায়গাতে বিশেষ করে হরিরামপুর, কুশকারী, ধুমশাদীঘি সহ বিভিন্ন গ্রামে বংশপরম্পরায় আজও মাদুর শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য পাশাপাশি জীবন জীবিকার লক্ষ্যে গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবারের সদস্যরা মাদুর তৈরি করে চলেছেন।
জানা গেছে, এই এলাকার প্রত্যেকটি বাড়ির সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই তাদের নিজস্ব জমি বা অন্যের জমি চুক্তি করে নিয়ে মাদুরকাঠির চাষ করে মাদুর তৈরি করে তা বাজারে বিক্রি করছেন।আর সেই আয়ের টাকায় সংসার চলে এই এলাকার শতাধিক পরিবারের। উল্লেখ্য, প্রতিবছর ফাল্গুন চৈত্র মাসে জমিতে মাদুরকাঠির চাষ করা হয় এবং আশ্বিন কার্তিক মাসে সে মাদুর কাঠি জমি থেকে কেটে বাড়িতে তোলা হয়। এবং একবার বছরে জমিতে বীজ বপন করলে তা তিন বছর আর করার প্রয়োজন পড়ে না সেই বীজেই নতুন মাদুরকাঠি থেকেই তারা মাদুর তৈরি করে বাজারে বিক্রি করবার জন্য প্রস্তুত করে। সারাদিনে প্রায় আট থেকে দশটি মাদুর তৈরি হয় পাইকারি দরে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হিসেবে বিক্রি করা হয় বিভিন্ন হাটে বাজারে। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও কোনরকম সরকারি সুযোগ সুবিধা পাননি বলে অভিযোগ মাদুর শিল্পীদের।এই বিষয়ে মাদুর শিল্পী সুশীল দেবনাথ( ৬০) জানান, “বাপ ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসা ব্যবসাকে টিকিয়ে রেখেছি বংশপরম্পরার মধ্যে দিয়ে। তবে বাজারে দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি হওয়াতে আমাদের চাষ করে মাদুর তৈরি করা বড় দুষ্কর হয়ে উঠেছে। কোনরকম সরকারী সহযোগিতা না পাওয়ায় খুবই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। মাদুর শিল্পকে আদৌ টিকিয়ে রাখতে পারব কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি আমরা। কারন মাদুরের সেই সোনার দিন এখন আর নেই। হাতে বোনা মাদুরের জায়গায় প্লাস্টিক মাদুর বাজার দখল করায় অস্তিত্ব সংকটের মুখে এই শিল্পের। চাহিদা কমায় মাদুর শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়েছে একাধিক পরিবার। দীর্ঘ দিন ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকায় শতকষ্টেও এই পেশা ছেড়ে বেরোতে পারছেন না বলে জানান।হাতে বোনা মাদুর পরিবেশ বান্ধব। এই মাদুর অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। দামে অনেকটাই সস্তা হাওয়ায় বাজারগুলিতে হাতে বোনা মাদুরে তুলনায় প্লাস্টিক মাদুরের বিক্রি বেশি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুসকারীর মাদুর শিল্পীদের একটাই আর্জি, বাংলার এই মাদুর শিল্পকে বাঁচাতে যদি সরকার কোন উদ্যোগ নেয়, তাহলে আবার অনেকেই এই পুরনো পেশায় ফিরে আসবে। আবারও স্বমহিমায় ফিরবে বাংলার হাতে বোনা মাদুর শিল্প। আর্থিক অনটন সত্বেও এই মাদুর শিল্পীরা বংশপরম্পরার টানে আজও নস্টালজিয়া এই মাদুরশিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন, এজন্য তাদের কুর্নিশ জানাতেই হয়।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - মালদা

আপনার জন্য নির্বাচিত

Malda news:রাজ্য সরকারের শিশু বিকাশ প্রকল্পের অধীন শিশু আলয়ে পালিত হল সুপুষ্টি ও অন্নপ্রাশন দিবস

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল ১৯৮৮-র ব্যাচের আইপিএস সঞ্জিব ভাটের

উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা মেটাতে বেদানার সেবন অপরিসীম

লোকমান্য তিলক টার্মিনাস স্টেশনের বাইরে এই রাজ্যের প্রচুর মানুষ । শ্রমিক ফেরাতে প্রচুর ট্রেনের ব্যবস্থা

পশ্চিমবঙ্গে সর্বপ্রথম মালদায় বাড়ির দুয়ারে প্রতিবন্ধকতার সার্টিফিকেট প্রদান শিবির।

মমতার ডাকা বৈঠকে উত্তর মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু, তবে কি তৃণমূলের পথে খগেন মুর্মু? জানতে পড়ুন।।

তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহ দিন, উপহাস নয়: সৌরভ হালদার

ইডির হাতে নয়, বরং অর্পিতার ধমকেই ঔষধ খেলেন পার্থ।

এই গরমে খান লাউয়ের হালুয়া ! জেনে নিন বানাবেন কি ভাবে ?

टी वॉर्कर्स यूनियन तराई डुवार्स व हिल कमिटी की ओर से शनिवार को  स्वागत समारोह का आयोजन

टी वॉर्कर्स यूनियन तराई डुवार्स व हिल कमिटी की ओर से शनिवार को स्वागत समारोह का आयोजन