‘লোভ সংবরণ করুন,জীবনধারণের জন্য যেটুকু দরকার সেটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকুন’, আমলা,পুলিশ ও নেতাদের হুঁশিয়ারি মমতার

Newsbazar24: সরকারি জমি বেআইনি দখল মুক্ত করতে নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভা ও পুরনিগমের চেয়ারম্যান এবং মেয়রদের বিভিন্ন বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তারপর থেকেই বেদখল হয়ে যাওয়া জমি দখলমুক্ত করতে ব্যস্ত রুজি রোজগারে টান পড়তেই এবং চারিদিক থেকে চাপ আসতেই চাপের কাছে নতি স্বঢ়ঢ় কার মুখ্যমন্ত্রীর। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন আপাতত হকার উচ্ছেদ বন্ধ থাকবে। বৃহস্পতিবার নবান্নে আবার বৈঠকে‌ বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক, বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক, কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের কমিশনার এবং রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, হকার উচ্ছেদ তার লক্ষ্য নয়।রাজ্যের প্রতিটি পুরসভা একই সিস্টেমে চলবে।হকার জোনের জন্য বাড়ি তৈরির কথাও বলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তিন মাসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। তিনি বলেন, একটা করে হকার চারটে করে ডালা বসাচ্ছে। এটা চলবে না। একজন হকার একটিই জায়গা পাবেন। পুলিশ ও হকার নেতাদের সাবধান করে তিনি বলেন হকারদের থেকে টাকা তুলবেন না। নেতা-পুলিশদের কাছে লোভ সংবরণের আহ্বান জানাবার পাশাপাশি জীবনধারণের জন্য যেটুকু দরকার সেটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকুন। কিন্তু তা হচ্ছে না।ফুটপাত জবরদখল প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গড়িয়াহাটে হাঁটার জায়গা নেই। হাতিবাগানে রাস্তা দখল হয়ে গিয়েছে। হকারির জায়গায় গোডাউন তৈরি করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলররা দোষী, অভিযোগ করেছেন তিনি।
আমাদের তো হকারদের পুনর্বাসনের জায়গা দিতে হবে। সেই ব্যবস্থা তো আছে। আমরা এটুকু খরচ তো ওঁদের জন্য করতেই পারি।’
হকারদের এক মাস সময় বেঁধে দিলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘হকারদের আমি এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সব গোছাতে শুরু করুন। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপনাদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে। কিন্তু রাস্তা দখল করা যাবে না।’
তবে হিরাগতদের জায়গা দেওয়া যাবে না, জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যে জায়গায় দৌরাত্ম বাড়বে, সেই জায়গার কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করা হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করলে আরও এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বেআইনি কোন কাজ হলে ডিএম-এসপি কাউকে ছাড়া হবে না, এবং যতবড় নেতা হোক কাউকেই ছাড়া হবে না, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। হকার ছাড়াও শহরের জায়গায় জায়গায় বেআইনি পার্কিং জোন তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নেতা-পুলিশদের টাকা দিয়ে এটা করা হচ্ছে।