লক্ষী পুজোর বাজার আগুন, নাভিশ্বাস আমজনতার

Newsbazar24:পঞ্জিকা মতে সন্ধ্যায় শুরু হবে কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা। ঘরে ঘরে ধন দেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছে আপামোর বাঙালি।‌ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন সকলে। কিন্তু বাজার করতে গিয়ে আগুনের ছোঁয়া। ফলমূল, ফুল ও পূজার বিভিন্ন উপকরণ ও তরী তরকারিতে। পাশাপাশি প্রতিমার দামও বেড়েছে। গতবারের চেয়ে এবারে প্রতিমা-পিছু কুড়ি থেকে ত্রিশ টাকা বেড়েছে। বড় প্রতিমা হলে তো কথাই নেই সেখানে ১০০ থেকে ২০০ টাকা দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্ম ফুলের দামও আকাশ ছোঁয়া। দুর্গা পূজার আগে থেকেই তরিতরকারির দাম বৃদ্ধি পাচ্ছিল। লক্ষী পূজায় আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বাজারে টাস্কফোর্স নামলেও মূল্য বৃদ্ধি কমার কোন সুফল আমজনতা পায়নি। স্বাভাবিকভাবেই তারা খুবই ক্ষুব্ধ। বাজারে যে পদ্মফুল দুদিন আগেও ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই পদ্মফুল বর্তমানে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলমূলের চেয়ে বাজারে শাকসবজির দাম ও আকাশ ছোঁয়া। গৃহস্থের বাড়িতে লক্ষ্মীপূজায় রাত্রে খিচুড়ি ভোগ দেওয়া হয় সাথে থাকে একটি পাঁচমিশালী তরকারি। আর সেই সবজি কিনতেই পকেটে টান মধ্যবিত্ত বাঙালির।
নিরুপায় হয়ে অনেকেই পুজোর বাজারে বেশ কিছু কাটছাঁট করছেন। পুজোর আয়োজনে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মধ্যবিত্ত বাঙালিকে। কেমন চলছে মালদহের বাজার? আসুন জেনে নেওয়া যাক। বাজারে ঢুকতেই সারি সারি পুজোর সরঞ্জামের দোকান। শোলার ফুল থেকে শুরু করে চাঁদমালা, ধান, কড়ি সবকিছুর দামই আকাশছোঁয়া।

বুধবার সকালে মালদার বিভিন্ন বাজার গুলিতে আপেল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজিতে ১২০-১৫০ টাকায়, বেদানা ১৮০-২০০, নাশপাতি, শাঁখা আলু ১০০-১২০, মোসম্বি, পেয়ারা ও শশা ৮০-১০০। পানিফল ৬০-৮০, বাতাবি লেবু ২৫-৩০ টাকা কেজিতে। প্রতি পিস নারকেলের দাম ৫০-৬০ টাকা, আনারসের ১০০ টাকা। বড় আকারের আখের দাম ৪০-৫০ টাকা, কলা ৬০-১০০ টাকা ডজন। ধানের শিষ ১০-২০ টাকা পিস। শিষ ডাব ৫০-৭০ টাকা। সবজি বাজারে এদিন বেগুন ১০০-১২০ টাকা কেজি, পটল ৮০, কাঁচালঙ্কা ২০০-২৫০, টম‌্যাটো ১০০-১২০, বিনস ১০০ টাকায়। ফুলকপি-১৫০-১৮০ এছাড়া চন্দ্রমুখী আলুর দাম ছিল ৩৬ টাকা কেজি। জ্যোতি ৩০-৩২ টাকা। গাজর ১২০ টাকা, ঝিঙে- ৬০ টাকা,

বিক্রেতারা জানান, বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে মালদহের সবজি বাজারে অগ্নিমূল্য । ফল, সবজির পাশাপাশি লাগামছাড়া হয়েছে ফুলের দামও। বৃষ্টির কারণে ফুল চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেই কারণেই ফুলের এই চড়া দাম, এমনটাই বক্তব্য ফুল ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতাদের বক্তব্য, ফলমূল সবজির বাজার আগুন হওয়ার পিছনে কড়া নজরদারির অভাব। বাজারে আমদানিত রয়েছে কিন্তু দাম কমছে কই? অনেকে আবার এর জন্য প্রশাসনকে দোষারোপ করতে ছাড়ছেন না।