রাস্তা সংস্কার না হলে পঞ্চায়েত ভোট বয়কটের হুশিয়ারি

Newsbazar 24: গাজোল ব্লকের রানীগঞ্জ ২ নাম্বার গ্রাম পঞ্চায়েতের, গোডাং থেকে কালিতলা গ্রাম পর্যন্ত রাস্তা কার্যত বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কালিতলা, গোডাং, ধোয়াজাল, গ্রামের মানুষের অবস্থা শোচনীয় হয়ে রয়েছে। বারবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। তবে রাস্তা না হলে আগামী দিনে ভোট বয়কটের হুশিয়ারি দিয়েছেন এলাকাবাসীরা।
এলাকাবাসীদের অধিকাংশ মহিলা এবং পুরুষ ক্ষোভের সাথে জানিয়েছেন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল রাস্তা করে দেওয়া হবে।। পাঁচ বছর কেটে গেছে। এখনো হয়নি রাস্তা। ছেলেমেয়েরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারেনা। বর্ষার সময় বিশেষ করে প্রচন্ড অসুবিধা পড়তে হয় গ্রামবাসীদের। অসুস্থ হলে রোগীকে ঘাড়ে করে নিয়ে যেতে হয়।।ফলে সমস্যায় এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
মূলত রানীগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩ টি আসনের মধ্যে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ৭টি এবং তৃণমূল ৬টি আসনে জয়ী হয়। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। যদিও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পর বিজেপি থেকে চারজন সদস্য যোগদান করে তৃণমূলে। তৃণমূলের সেই বোর্ডকে সমর্থন করে বিজেপির প্রধান। ফলে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কিন্তু বিজেপির সেই প্রধান সেই প্রধান হিসেবে থেকে যায়। এরপর শুরু হয় অন্তকলহ। ফের সেই বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে নবনির্বাচিত প্রধান হন তৃণমূল থেকে নির্বাচিত এক সদস্য। কিন্তু এখনো পর্যন্ত মানুষ সেই তিমিরেই রয়েছে। এ বিষয়ে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত এক সদস্য বলেন বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন বোর্ড গঠন হওয়ার পর এ রাস্তাটি কাজ শুরু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে থাকার দরুন অর্থ না পাওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। পালটা তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য জানান, বিগত বিজেপির বোর্ড থাকাকালীন এই রাস্তাটি করা হয়নি তারপর পঞ্চায়েতে ডামাডোল চলছিল। কিছুদিন হল এই পঞ্চায়েতের অচল অবস্থা কেটেছে। এবার বকেয়া কাজগুলো শুরু হবে।
এলাকার রাস্তা নিয়ে রাজনৈতিক তরজার পড়ে মধ্যে পড়ে এলাকাবাসী চরম দোটানায়। আদৌ রাস্তা হবে কিনা সে বিষয়ে তারা যথেষ্ট সন্ধিহান। তাদের এই সমস্যা কবে মিটবে সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন গ্রামবাসীরা।