Tuesday , 5 November 2024 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

রামায়ণ ও মহাভারতের যুগে কে করেছিলেন ”ছট পূজা ”? চারদিনের এই পুজোর ঐতিহ্যগত কাহিনী

প্রতিবেদক
Sankar Chakraboty,Admin
November 5, 2024 8:00 pm

news bazar24: কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে দীপাবলির পর কার্তিক শুক্লা চতুর্থী থেকে কার্তিক সপ্তমী পর্যন্ত চার দিন ধরে ছট পূজা করার প্রচলন হয়ে আসছে । সূর্য দেবতা ও তাঁর স্ত্রী উষার পূজার মাধ্যমে এই পূজা করা হয়। প্রধানত উত্তর ভারতে অর্থাৎ বিহার, ঝাড়খণ্ডে এই পূজার একটি বিশেষ ঐতিহ্য রয়েছে। তবে ভারতের অন্যান্য রাজ্যেও এই পূজার প্রচলন বেড়ে চলেছে । মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও নেপাল সহ বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ম মেনে এই পূজা পালন করা হয়ে থাকে ।

 

কার্তিক মাসে ছট পূজা অনুষ্ঠিত হয় বলে একে ‘কার্তিক ছট’ পূজা বলা হয়। হিন্দু পুরাণ অনুসারে ছট পূজা হল সূর্য পাটনি ছঠি মাইয়া পূজা (ছট মাতার পূজা), ছট মাতাকে উষা নামে সম্বোধন করা হয়। ছট পুজোয় কোনো মূর্তি পুজো হয় না। ছট পূজার মাধ্যমে ভগবান সূর্য ও সূর্যের সঙ্গী ছঠি মাইয়া (উষার) পূজা করা হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ০৭ নভেম্বর, ২০২৪ বৃহস্পতিবার ছট পূজা উদযাপিত হবে।

 

ঋগ্বেদের শ্লোকগুলিতে সূর্যবন্দনার স্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে। ভারতীয় সভ্যতার পাশাপাশি গ্রীক, রোমান, মিশরীয় ইত্যাদি সভ্যতার প্রধান দেবতা ছিলেন সূর্য। এভাবে ঊষাও একজন বৈদিক দেবী। বেদে উল্লিখিত হিসাবে, তিনি অতীতের দেবী এবং অশ্বিনীকুমারদের মা। তিনি অগ্নি, সোম এবং ইন্দ্রের পরে অন্যতম প্রধান বৈদিক দেবী। রাত্রি হল তার বোন যাকে হয়তো পরবর্তী পৌরাণিক সময়ে সন্ধ্যা ও ছায়া হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে ।

ঐতিহ্যগত কাহিনী-

একটি ঐতিহ্যগত কাহিনী অনুসারে, শ্রীলঙ্কায় রাবণকে বধ করার পর শ্রী রাম দীপাবলির সময়ে অযোধ্যায় ফিরে আসেন। সেই রাতে , রাজ্যের সমস্ত নাগরিক রাজ্য জুড়ে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। রামের রাজ্যাভিষেকের পর, শ্রী রাম ও সীতা কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠীতে উপবাস করেন এবং রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সূর্যদেবতার পূজা করেন। সপ্তমীর সূর্যোদয়ে তিনি আবার সূর্যের পূজা করে রামরাজ্য শুরু করেন।

রামায়ণে উল্লিখিত হিসাবে, শ্রী রামের কুলদেবতা সূর্যের জন্য রাম ও সীতা এই পূজা করেছিলেন। মহাভারতে উল্লেখ আছে, দ্রৌপদী ঋষি ধাম্যের পরামর্শে সূর্যের পূজা করে অক্ষয় পাত্র লাভ করেন।

মহাভারতের যুগে মহাবীর কর্ণ জলে কোমর অবধি গিয়ে সূর্যের পূজা করেছিলেন বলেও উল্লেখ আছে। আজও ছট পূজা উদযাপনকারীদের কোমর- জলে দাঁড়িয়ে সূর্যের পূজা করতে দেখা যায়। অন্য একটি প্রবাদ অনুসারে, পান্ডু ঋষি হত্যার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে স্ত্রী কুন্তীর সাথে বনে থাকাকালীন সরস্বতী নদীর তীরে সূর্যের পূজা ও ব্রত করেছিলেন।

তাই মহাভারতেও ছট পূজার উল্লেখ আছে। সূর্যের পুত্র কর্ণ, যিনি সূর্যোদয়ের সময় সূর্য পূজা শুরু করেছিলেন। পুরাণ অনুসারে, ভগবান সূর্যের পরম ভক্ত ছিলেন কর্ণ।

মাহাত্ম্য

ছট পূজা ভারতে সূর্য পূজার জন্য বিখ্যাত পার্বণ। এটি বছরে দুবার পালিত হয় — প্রথমবার চৈত্র মাসে (চৈতি ছট) এবং দ্বিতীয়বার কার্তিক মাসে (কার্তিকি ছট)। এটি পারিবারিক সুখ এবং সমৃদ্ধির পাশাপাশি মনস্কামনা পুরনের জন্য পালন করা হয়। এই উৎসবে নারী-পুরুষ সমানভাবে অংশগ্রহণ করে।

ছট পূজায় নিয়ম –

ছট পূজায় প্রতিমা পূজার প্রচলন নেই। এটি অস্তগামী এবং উদীয়মান সূর্যের পূজা করে করা হয় । তবে আজকাল পূজা পরিচালনা কমিটিগুলোকে সব ঘাটের কাছে সূর্য ও ঊষার মূর্তি স্থাপন করতে দেখা যায়। পূজার দুই দিন আগে লাউ ভাত এবং একদিন আগে খির ভাত খাওয়ার সাথে ৩৬ ঘন্টার কঠোর উপবাস পালন করা হয়।

পুজোয় সম্পূর্ণ সাত্ত্বিক নৈবেদ্য ইত্যাদি কুলো, ডালা বা পাচিতে দেওয়া হয়। ঐতিহ্যবাহী বিহারী লোকজ খাবার “ঠেকুয়া” সহ বিভিন্ন ফল, মিষ্টি ইত্যাদি প্রস্তুত করা হয় এবং নৈবেদ্য হিসাবে দেওয়া হয়।

পূজা শেষে আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের মধ্যে “ঠেকুয়া” প্রসাদ বিতরণ এই পূজার অন্যতম নিয়ম। এই পুজোয় বহু মানুষ পুকুর, ইঁদারার কাছে বা নদীর ঘাটে পুজো দিতে যান। এখন এই পূজা সার্বজনীন রূপ পেয়েছে। এ পূজার গুরুত্ব বুঝতে পেরে পূজায় অংশ নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন ভাষা, ধর্মের মানুষ।

এই পুজোয় চার দিনের উপবাসের প্রথম দিনে, ব্রত ধারক ঘর পরিষ্কার করেন, স্নান করেন এবং পবিত্রতায় নিরামিষ খাবার খান (যাকে নাহয়-খায় বলা হয়)।

পরের দিন উপবাস শুরু হয়, সারাদিন উপবাস করার পর, সন্ধ্যার পূজা শেষে ক্ষীরের ভোগ খান ,যা (খরনা নামে পরিচিত)।

তৃতীয় দিন অর্ঘ্য অর্থাৎ নিকটবর্তী নদী বা জলাশয়ের ঘাটে গিয়ে অন্যান্য ভক্তদের সাথে অস্তগামী সূর্যকে দুধ নিবেদন করা হয়।

উপবাসের শেষ দিনে ঘাটে ফিরে শুদ্ধ চিত্তে উদীয়মান সূর্যকে নিবেদন করে উপবাস ভঙ্গ করে বাঁশ নির্মিত পাত্রে সুপ, গুড়, মিষ্টি, দুধ, ঠেকুয়া, চালের ভাত এবং আখ, কলা, মিষ্টি লেবুর মতো ফল খেয়ে পুজোর পর্ব শেষ করা হয়।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - মালদা

আপনার জন্য নির্বাচিত

প্রকাশ্যে অভিনেতা বিধায়ক সোহমের দাদাগিরি,রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ

আবারও গাজোলে প্রাচীন মূর্তি উদ্ধারের ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য

Free eye check up camp:রাজ‍্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের “দৃষ্টিতে আশা ,দৃষ্টিই আশা” প্রকল্পে বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের ব্যবস্থা পিনাকি রায় আই ফাউন্ডেশানের

ইংরেজবাজার পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী পূজা দাস জয়ের পর কি বললেন দেখুন ।।

আশা জাগাচ্ছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ

বৈধ কাগজপত্র হীন কয়েক লক্ষ টাকার সোনাসহ তিন ব্যক্তি গ্রেফতার।।‌

রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ডিসিআরসি সেন্টার পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে

মালদায় এবার কোর্ট ও করোনায় আক্রান্ত, জেনে নিন ইংলিশ বাজার শহরের করোনার খবর

Malda:অভিনব সচেতনতার বার্তা নিয়ে বেঙ্গল কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের মালদা শাখা

World blood Donors day :বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ মেডিকেল সেলের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির