Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

রান্না ঘরের ফেলে দেওয়ার বর্জ্য থেকে তৈরি করুন জৈব সার

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

news bazar24 : পরিবেশকে সুস্থ রাখা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় রান্না ঘরের ফেলে দেওয়ার বর্জ্য থেকে তৈরি করুন জৈব সার। আসুন জেনে নিন কিভাবে নিজেই তৈরি  করবেন এই জৈব সার –

 আমরা দৈনন্দিন জীবনে বাড়িতে প্রত্যেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকি এবং সে ব্যবহার্য জিনিস গুলির মধ্যে আমাদের যে জিনিসগুলি কাজে লাগে না সেটিকে বজ্র হিসেবে ফেলে দেওয়া হয়। যেমন- শাক সবজি ও ফলের খোসা, ডিমের খোলা ব্যবহৃত চা পাতা ইত্যাদি। বাড়ির এই ফেলে দেওয়া বজ্র থেকে তৈরি হয় জৈব সার। তাই এই বজ্রগুলিকে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন। প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি এই জৈব সার মাটির কার্যক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলে।এই জৈব সার যে শুধু মাটির কার্যক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে তা নয়, এটির পাশাপাশি তাপমাত্রা ভারসাম্য রক্ষা এবং মাটির অম্লত্ব ও ক্ষারত্য থেকে শুরু করে মাটিতে বায়ু চলাচলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

জৈব বর্জ্যের ব্যবহার তৈরি পদ্ধতি:- বাড়ির বাগানের জন্য বাড়ির বজ্রগুলিকে সুষম সার হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি। এই সার আমরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তৈরি করতে পারি। এই সার ব্যবহারের ফলে গাছের পুষ্টি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও আমরা বজ্র গুলিকে কম্পোস্ট সার তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করতে পারি। আমরা সকলেই যদি একটু সচেতন হই তাহলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমবে।

 কম্পোস্ট সারের গুরুত্ব:-

১. এই সার দ্রুত প্রস্তুত হয়।

২. এর ব্যবহার মাটির ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

৩. মাটিতে বায়ু চলাচল বৃদ্ধি করে।

৪. মাটিকে ভঙ্গুর করে তোলে।

৫.গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

 বাড়ির বজ্র কম্পোস্ট স্যার তৈরির উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পেয়াজ ও আলুর খোসার মধ্যে বেশ কিছু পদার্থ থাকে যা ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাক দমন করতে পারে। শাক সবজির বা ফলের খোসা ফেলে দেওয়া অংশ থেকে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রোজেন পাওয়া যায়। এছাড়াও কলার খোসাতে প্রচুর পরিমাণে ফসফেট ও পটাস থাকে এবং ডিমের খোসাতে ৯০ শতাংশেরও বেশি খনিজ পদার্থ থাকে।

 তাই বলা বাহুল্য রান্না ঘরের অবশিষ্ট খাদ্য থেকে শুরু করে ফেলে দেওয়া বজ্র এক জায়গায় রেখে জৈব সার তৈরি করে একাধিক ফসল ফলাতে ব্যবহার করতে পারি আমরা।

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin