রাজ্যে নতুন পর্যটন স্থল ! ভুটান পাহাড়ের তলদেশে এবার গড়ে উঠছে নতুন গ্রাম ”বনছায়া”

news bazar24: ভুটান পাহাড়ের তলদেশ গড়ে উঠতে চলেছে রাজ্যের নতুন পর্যটন গ্রাম। গ্রামের নাম বনছায়া। ঠিকানা কালচিনি রকের মেচপাড়া চা-বাগান। গ্রামের বয়স মাত্র ছ’মাস। নামকরণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বনছায়া সেই গ্রাম, যে
গ্রামে আজ থেকে ছ’মাস আগে বক্সা যা প্রকল্পের ভেতর থেকে পুনর্বাসন পেয়ে স্থায়ী ঠিকানা বানিয়েছেন ভুটিয়া বস্তি,গাঙ্গুটিয়া বনবস্তির দুই শতাধিক পরিবার। মাত্র ছ”্মাসের বিদ্যুৎ, রাস্তার কাজ করে দিয়েছে। আগেই বিরাট অঙ্কের
নগদ টাকা, নির্দিষ্ট পরিমাণ জমি পেয়ে গিয়েছিল প্রতিটি পরিবার। আদিবাসী, নেপালি অধ্যুষিত এলাকায় সুদৃশ্য প্যাটার্নের যেমন বাড়ি তৈরি হয়, ঠিক তেমনই সব বাড়ি তৈরি হচ্ছে এখানে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এলাকায় পর্যটনের যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন পর্যটন মহল। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফেও পদক্ষেপ করা হবে। জানা গেছে, হোম-স্টে তৈরি করে এবার চা-বাগান ঘেরা ভুটান সীমানার কাছেই নতুন পর্যটন গ্রাম হিসেবে উঠে আসতে চলেছে বনছায়া।
আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য তথা পর্যটন মহলের পরিচিত নতুন গ্রামের বর্তমান বাসিন্দা রামকুমার লামা বলেন, “নতুন করে বাড়ি তৈরি হচ্ছে। রাজ্যের নতুন গ্রামে সবাই এখনও সবকিছু গুছিয়ে নিতে পারেননি। তবে খুব শিগগিরই আমরা একটি কর্মশালার আয়োজন করব।

অবশ্যই হোম-স্টের ওপর জোর দেওয়া হবে।” গ্রামের তিন কিমির মধ্যে ভুটান পাহাড়। যেখানে অপূর্ব সুন্দর গোয়ালড়ুং ধাম রয়েছে। ধর্মপ্রাণ মানুষ সেখানে
আসেন। গ্রামের চারদিকে ছবির মতো সাজানো ছণ্টি চা-বাগান রয়েছে। শীতের সময় সেন্ট্রাল ডুয়ার্স, রাঙামাটি, খোকলাবস্তি হয়ে ১৫ কিমির মধ্যে ভুটানের ফুন্টশলিং শহরে যাতায়াত করা যায়। ওয়েলনেস ট্যুরিজম, কালচারাল ট্যুরিজম সবকিছুই সম্ভব গ্রামে । পাশাপাশি সেল্ফ হেল্প কাজকে উৎসাহ দেওয়া হবে।

বক্সা ব্াঘ প্রকল্পের ভেতর থেকে আপাতত মাত্র দুটি গ্রামকে সরিয়ে বনছায়াতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মনে করা সেখানে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। জয়ন্তরী-সহ বক্সার ভেতরে থাকা আরও কিছু গ্রামের মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্ততি শুরু করেছে প্রশাসন। বনছায়া থেকে মাত্র ১৪ কিমির মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে বড় দুই জনপদ কালচিনি, হ্যামিলটনগঞ্জি। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর প্রায় ৪০ কিমি দূরে। গ্রামের পাশেই বর্তমানে সরকারি উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে অত্যাধুনিক হাই স্কুল।

কালচিনি, হ্যামিলটনগঞ্জে রয়েছে সরকারি অন্য সুযোগ সুবিধা। পর্যটনে পরিচিতি পেলে গ্রামের প্রতিটি পরিবার স্থায়ী উপার্জনের সুবিধা পাবে। আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা বলেন, “বনছায়া গ্রামটির অবস্থান মন কেড়ে নেওয়ার মতো । পাখি, প্রজাপতির মেলা বসে সেখানে। গোটা গ্রামটিই সরকারি জমির ওপর। একটি পার্ক রয়েছে। ওই পার্কের সংস্কার করতে হবে। তবে এখনও গ্রামের সবাই নিজেদের বাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত। বাসিন্দারা যদি পর্যটনের জন্য আগ্রহ দেখায়, সেক্ষেত্রে উৎকর্ষ বাংলা স্কিমে বেশ কিছু পদক্ষেপ আমরা করতেই পারি।”