Newsbazar24: থাইরয়েডের সমস্যা এখন উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের মতোই রোজকার সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা জানাচ্ছে, পৃথিবীতে অন্তত ১৫ শতাংশ মানুষ থাইরয়েডজনিত সমস্যায় ভোগেন। থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না রাখলে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বেশ কয়েকটি পানীয় রয়েছে যেগুলি নিয়ম করে খেলে বশে থাকবে থাইরয়েড। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, কোন কোন পানীয় সাহায্য করতে পারে এই রোগে।
আপেল সাইডার ভিনিগার
শুধু ওজন কমাতেই নয়, থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে রাখতে আপেল সাইডার ভিনিগার কিন্তু উপকারী। থাইরয়েডের মাত্রা কমাতে আপেল সাইডার ভিনিগার যে কার্যকরী, তা অনেকেই জানেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আপেল সাইডার ভিনিগার থাইরয়েডের ক্ষেত্রে ওষুধের মতো কাজ করে। এক চামচ ভিনিগার এক গ্লাস জলে মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
ঘোল
প্রোবায়োটিক উপাদানের অন্যতম সমৃদ্ধ উৎস ঘোল। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ঘোলের ভূমিকা অনবদ্য। সেই সঙ্গে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণেও উপকারী ভূমিকা পালন করে এই পানীয়। পেটের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে হাইপোথাইরয়েডিজমের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে।
বাদাম দুধ
কাঠবাদাম কিংবা কাজুবাদামের দুধ বেশ স্বাস্থ্যকর পানীয়। চিকিৎসকদের মতে, থাইরয়েডের মাত্রা কমাতে বাদামের দুধ বেশ কার্যকর। চাইলে চা কিংবা কফিতেও ব্যবহার করতে পারেন এই দুধ। এ ছাড়া বাদাম দুধ দিয়ে বানাতে পারেন স্মুদিও।
ভেষজ চা
অশ্বগন্ধা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। বিশেষ করে থাইরয়েড রোগীদের ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধা ওষুধের মতো কাজ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান। তাই অশ্বগন্ধা দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন চা। সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাবেন।
বিটের রস
থাইরয়েড থেকে কোলেস্টেরল— বিট মোকাবিলা করে নানা অসুখের। বিট হল ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের সমৃদ্ধ উৎস। এই উপাদান থাইরয়েডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।