news bazar24: মৃৎ-শিল্পীদের মুখেই হাসি ফোটানোর জন্য এক অসাধারণ উদ্যোগ পঞ্চম শ্রেণীর খুদে পড়ুয়ার। এই টুকু বয়সে তার এই ধরনের চিন্তা ভাবনা সমাজের সকলের কাছে শিক্ষণীয়। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা গ্রামের ছেলে অংশুমান চক্রবর্তী। মালদা শহরের সিস্টার নিবেদিতা স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। প্রত্যেক বছর কালী পূজোতে এসে দেখে আসছে একই ধরনের প্রদীপ। সাথে দেখতে পাচ্ছে প্রদীপের ব্যবহার কমছে, বাড়ছে চীনের টুনি বাল্বের ব্যবহার। তাই সে এই বছর উদ্যোগ নেয় তার শিল্পকলার মাধ্যমে আকর্ষণীয় করে তুলবে মাটির প্রদীপকে। ছোট থেকেই আর্ট এন্ড ক্রাফট এবং অঙ্কনে তার হাত বেশ ভালো। এলাকার মৃৎ-শিল্পীদের কাছ থেকে মাটির প্রদীপ কিনে এনে সেগুলিকে রং করে অংশুমান। তার উপর নিপুন দক্ষতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছে বিভিন্ন নকশা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ধরনের প্রদীপ নজর কারবে মানুষের। অংশুমানের কথায় দীপাবলিতে সকলের বাড়ি আলোতে ভরে ওঠে। কিন্তু আলোর প্রদীপ যারা তৈরি করছে তাদেরই আর্থিক দুরাবস্থা। তাদের বাড়িও যাতে দারিদ্রতার অন্ধকার কাটিয়ে আলোক উজ্জ্বল হয়ে ওঠে দীপাবলিতে তাই তার এই চিন্তা ভাবনা।