মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ মন্ত্রী হয়েও জানতে পারলেন না কেন সামশেরগঞ্জ নিয়ে আমি ডিজির সাথে দেখা করেছি’ মন্তব্য সাংসদ ইশা খান চৌধুরীর

Newsbazar24:বুধবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম-মোয়াজ্জেম ও অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাা্ধায় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ধুলিয়ানের সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের ঘটনায় কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন,
নাম না করে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ ইশা খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন সাংসদ হয়েও গন্ডগোলের সময় এলাকায় ছিলেন না তিনি। তার উচিত ছিল এলাকায় থাকা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহ প্রেস কর্নারে এক সাংবাদিক সম্মেলনে দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ ঈশা খান চৌধুরী এই অভিযোগ নস্যাৎ করে বলেন, আমরা আমাদের দলের পক্ষ থেকে সামশেরগঞ্জ ধুলিয়ানের ঘটনা নিয়ে পুলিশকে জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে পুলিশমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী জানেন না কেন যে আমি সামশেরগঞ্জ ঘুরে এসেছি। ওখানে রাজ্য পুলিশের ডিজির সাথে দেখা করে কথা বলেছি। সামশেরগঞ্জ পার্টি অফিসেও গিয়েছি। এছাড়াও আমি বৈষ্ণবনগরের পারলালপুরে গেছি। যেখানে মুর্শিদাবাদ থেকে পালিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন । পুলিশ আমাকে অনুরোধ করেছেন এলাকায় শান্তি ফিরুক, তারপর এলাকা পরিদর্শনে যাবেন। কারন আপনি গেলে আপনার সাথে আরও লোকজন যাবে। তাই সমস্যা তৈরি হতে পারে। সাংসদ আরও বলেন, “ওয়াকফ বিলের প্রতিবাদে এবং এসএসসির চাকরিহারাদের নিয়ে মালদাতেও আমাদের ব্যাপক আন্দোলনের পরিকল্পনা ছিল। জেলারপ্রতিটি ব্লকে আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অনুরোধ করায় আমরা আপাতত স্থগিত রেখেছি । আইন-শৃঙ্খলা এবং শান্তি বজায় রাখার জন্য আমরা পুলিশের কথা শুনে তাদের সহযোগিতা করেছি। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মালদা এবং মুর্শিদাবাদের কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের অপমান করছেন। তিনিও মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছেন। কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষ দল। আমরা হিন্দু মুসলমান সকলে মিলে ভাই ভাই হিসেবে থাকতে চাই।
পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলেন, “পারলালপুর এবং মোথাবাড়ি পরিদর্শনে বিজেপির বড় বড় নেতারা মালদায় এসেছেন। উনি বলেছেন হাসুয়া ধরতে। এটা বেআইনি কথা। আমি সুকান্ত মজুমদারের নামে লিখিত অভিযোগ করব। আমরা পুলিশকে বলব বিজেপি একটা বিভেদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।”
মুর্শিদাবাদের ঘটনা নিয়ে এনআইএ তদন্তীর দাবি প্রসঙ্গে ইশা খান বলেন, যদি স্থানীয়রা এন আই এ তদন্তির দাবি করে তাহলে অবশ্যই হওয়া দরকার। আক্রান্তরা চাইছে এনআইএ তদন্ত হোক, তাহলে অবশ্যই হওয়া দরকার। বিজেপি-তৃণমূল যৌথ ভাবে মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চাইছে যাতে তৃণমূল মুসলমান ভোটকে একদিকে করতে পারে বিজেপি হিন্দু ভোটকে নিজের দিকে টানতে পারে।।