Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

মিশরীয়দের কাছে বিড়াল এত প্রিয় ছিলো কেন ?

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

  news bazar24:   প্রাচীন মিশরীয় সমাজ ছিল কৃষিনির্ভর সভ্যতা। তবে পাশাপাশি শিকারের মাধ্যমেও খাবার যোগান করার চেষ্টা করা হতো এই যুগে। কিন্তু কৃষিই ছিল প্রধান অর্থনৈতিক পেশা। আজকের দিনে যে সব বিজ্ঞানের জয়জয়কার দেখছি আমরা, উচ্চফলনশীল জাতের উদ্ভাবনের কারণে অল্প পরিমাণ জমিতেও বিশাল পরিমাণ ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। সে রকম কিন্তু চার হাজার বছর আগের প্রেক্ষাপটে প্রাচীন মিশরীয়দের সময় ছিল না।  উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ ছিল অতি অল্প, যা দ্বারা কোনোমতে দিন যাপন করতো মিশরীয়রা।

প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার অধিবাসীরা উৎপাদিত ফসল মজুত করত পরের বছরের জন্য। যদি কোন কারণে সামনের বছর ফসল না ফলে।  যেখানে সংরক্ষণ করা হত (বর্তমানে যেমন গুদামঘর রয়েছে), সেখানে ইঁদুরের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষাক্ত পোকামাকড়ের আগমন ঘটত। এসব বিষাক্ত পোকামাকড়ের কামড়ে সেসময়ের মানুষের মারা যাওয়া ছিল খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আর ইঁদুরের উৎপাতের ফলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলও ঠিকমতো সংরক্ষণ করা যেত না।

এই ভাবে চলতে থাকে, এরপর প্রাচীন মিশরীয়রা একসময় লক্ষ্য করে, বিষাক্ত পোকামাকড়, সাপ ও ইঁদুরের বিরুদ্ধে বুনো বিড়াল তাদেরকে বেশ ভাল সুরক্ষা দিচ্ছে। এরপর বুনো বিড়ালগুলোকে বিভিন্ন উপায়ে আকৃষ্ট করা হয় (যেমন- মাছের মাথা খেতে দিয়ে)। এভাবে একসময় বুনো বিড়াল মানুষের কাছাকাছি আসতে থাকে, খাবারের জন্য তাদের সংগ্রাম কমে যায়। খাবারের জন্য যেহেতু বিড়ালগুলোর আর আগের মতো সংগ্রাম করতে হতো না, তাই প্রাকৃতিকভাবে তাদের আচরণেও পরিবর্তন আসে। আগের আক্রমণাত্মক, হিংস্র আচরণের বিড়ালগুলো হয়ে ওঠে সহনশীল, প্রাচীন মিশরীয়দের বাসাবাড়িতে জায়গা করে নেয় তারা।এরপর আসতে আসতে প্রত্যেক বাড়িতে বিড়াল পোষা ,ও বিড়াল কে সংরক্ষণ করা একটা ধর্মীয় আবেক হয়ে ওঠে।

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin