ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব বাংলাদেশ সরকাররের

news bazar24: হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারে ঘেরা বাংলাদেশ এখন হতাশা থেকে অসংবিধানিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। মঙ্গলবার ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করেছিলো বাংলাদেশ সরকার । ভার্মাকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে ডাকা হয়। বাংলাদেশি সংবাদপত্র ‘দ্য ডেইলি স্টার’-এর মতে, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহর সঙ্গে কথা বলার পর বেরিয়ে আসা ভার্মা বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক ‘শুধু একটি ইস্যুতে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না’। ভার্মা বলেছিলেন যে ‘আমাদের মধ্যে একটি বিস্তৃত এবং বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে।’ তিনি বলেন, ভারত পারস্পরিক সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে ‘নির্ভরতা’ বাড়াতে চায়।

এর আগে পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হুসেন তার সংক্ষিপ্ত মন্তব্যে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাকে (ভার্মা) তলব করা হয়েছে।’ সরকারি বার্তা সংস্থা ‘বাংলাদেশ যোগাযোগ সংস্থা’ (বাসস) জানিয়েছে, ভারতীয় হাইকমিশনার বিকেল ৪টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান। বাসস জানিয়েছে, ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করেছেন। একদিন আগে, একটি অনিয়ন্ত্রিত মানুষের দল আগরতলায় প্রতিবেশী দেশের সহকারী হাই কমিশনের নিরাপত্তা ব্যারিকেড ভেঙে দেয়।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি গুরুতর: সাবেক ভারতীয় হাইকমিশনার

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী মনে করেন, প্রতিবেশী দেশে পরিস্থিতি গুরুতর, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করেন এবং একে ‘অরাজনৈতিক’ সরকার বলে অভিহিত করেন। চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি মনে করি ভারত সরকার ‘অপেক্ষা করুক এবং দেখু্ক’ কৌশল গ্রহণ করার সুযোগ আসবে । এর একটি কারণ হল আমাদের অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া সেখানে ভারত বিরোধী শক্তিকে উৎসাহিত করতে পারে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার বলেন, ‘ভারত স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। আমরা অবশ্যই ভিসার উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছি, যা নিরাপত্তার কারণে করা হয়েছিল। এখনও জরুরী ভিসা দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল ভিসাও দেওয়া হচ্ছে। তবে ভারতে বাংলাদেশিদের আগমন এখন অনেক কমে গেছে।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘুদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ, তাদের, তাদের বাড়িঘর ও ধর্মীয় স্থানের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর আবারও এসব অভিযোগের দিকে বিশ্ববাসীর নজর পড়েছে। কৃষ্ণ দাস একটি সমাবেশে যোগ দিতে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে আটক করা হয়। আজও আদালত তাকে জামিন দিতে অস্বীকার করে তাকে কারাগারে পাঠায়। (এজেন্সি ইনপুট)