Tuesday , 2 August 2022 |
  1. Delete-31-10-24
  2. উপাসনা এবং ধর্ম
  3. কলকাতা
  4. কৃষি ও ফুল বাগান
  5. খেলা
  6. গ্রহ শান্তি
  7. চলো যাই
  8. জানা অজানা
  9. দেশ
  10. পড়াশোনা
  11. পথ চলতি
  12. পেশা প্রস্তুতি
  13. প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান
  14. ফ্যাশান
  15. বিজ্ঞাপন

বীন বাজলেই সাপ নাচে ? কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ পালায় ? জানুন অজানা তথ্য

প্রতিবেদক
Sankar Chakraboty,Admin
August 2, 2022 8:48 pm

  news bazar24:  আপনারা হয়তো অনেকেই দেখে হবেন সিনেমায় বীন বাজলেই যেখান সেখান থেকে সাপ ছুটে আসে ও নাচতে শুরু করে।
বীন বাজালে সিনেমায় সাপ নাচে কিন্তু বাস্তব জীবনে তেমনটা একদমই না। আপনাদের হয়তো অনেকেরই জানা হতে পারে যে সাপের কোনো কান নেই। বাইরের শব্দ শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয় তাদের। সাপ সহজে আপনাকে আক্রমণ করবে না। আপনি যদি শব্দ করে হাঁটেন, তাও বুঝতে পারে। সাপের ওপরের গায়ের রং আলাদা আবার বুকের তলায় খোলসের রঙ আলাদা। সেখানে বিশেষ ভাবে লুক্কায়িত অবস্থায় কিছু স্নায়ুতন্তু থাকে। যা তাদের মাটির কম্পন বুঝতে সাহায্য করে। আপনি কতদুরে আছেন, আপনি সাইজে কতবড়, আপনার চলার কম্পন দেখেই সে বুঝতে পারে। অনেকে মনে করেন যে, বেলি, হাস্নাহেনার গন্ধে সাপ আসে কিন্তু এই সবের গন্ধে কখনো সাপ আসে না। কেউকেউ জীবদ্দশায় বেলি, হাস্নাহেনা গন্ধরাজের তলায় সাপ হয়তো দেখে হবেন। মনে রাখবেন, সাপের ঘ্রাণশক্তি খুবই দূর্বল। সে কোনো কিছুর গন্ধ পায় না। সুগন্ধি ফুলে পোকামাকড় আকৃষ্ট হয় বেশি। তাই পোকা খেতে ব্যাঙ আসে। আর ব্যাঙ খেতেই মাঝে-মাঝে সাপ আসতে পারে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার বটেই। খাবার পর মানুষের মত সাপও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মানুষ খাবারের পর যেমন আয়েশ করে ঘুমায় ঠিক তেমনই সাপও ঘুমায়। তবে এইসব গাছ গাছালি যদি বাড়ির ভেতর থাকে তবে সাপ কম আসে। কারণ মানুষের উপস্থিতিতে তারা প্রচন্ড ভয় পায়। তবে বাড়ির আসে পাশে, ঝোপঝাড়ে এমন গাছ থাকলে সাপ আসা স্বাভাবিক। যদি আপনি একটা সাপকে মেরে ফেলেন তাহলে তার জোড়া সঙ্গী কখনোই আপনাকে খুঁজে দংশন করতে আসবে না। কারণ এসব শুধুমাত্র সিনেমাতেই সম্ভব। সাপের স্মৃতিশক্তি খুবই দূর্বল। সাপ বাংলা সিনেমার স্বর্পরাজ শাকিব খান কিংবা নাগিন সিরিয়ালের শিবন্যা নয়, যে সঙ্গীহারার প্রতিশোধ নিতে ছুটে আসবে। সাপ খুবই নিম্নজাতের প্রাণি। এদের মধ্যে রিভেঞ্জ বলে কিছুই নেই। কিন্তু একটা সাপ মারার পর আরেকটা সাপ প্রায়ই একই স্থানে দেখা যায়, তাহলে তার কারণ কী? তার কারণ খুবই সোজা। সর্প বিচরণের সময় তাদের পার্টনার আশেপাশে থাকতেই পারে, কিংবা আশেপাশে গর্তের মধ্যে সাপ থাকলে তার বাচ্চাকাচ্চা কিংবা আরো সাপ উঠে আসতেই পারে। তবে সে প্রতিশোধ নিতে আসেনি বরং ভুল করে গর্ত থেকে বাইরে চলে এসেছে। এটা ভাববেনা যে ছোট সাপের বিষ থাকেনা। এই কথাটা একেবারেই ভুল। মনে রাখবেন সাপের বাচ্চাও কিন্তু সাপ। কেঁচোর সমান একটা কেউটের কামড়ে আমার চোখের সামনে এক রোগীকে টানা ২৪ ঘণ্টা জীবনের সাথে ফাইট করতে দেখেছি। আইসিইউতে আমরা তিন ডাক্তার তার পাশে ২৪ ঘন্টা লড়েছিলাম। আর্টিফিশিয়াল ভেন্টিলেশন থেকে শুরু করে একাধিকবার অ্যান্টি-ভেনম ইনজেকশন দিয়েছি। সে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছে। কিন্তু যাওয়ার আগে আমাদের গালিগালাজ করে গেছে। আমরা নাকি তাকে অনেক দামী ঔষুধ দিয়েছি। কিন্তু সে জানেই না যে, একডোজ অ্যান্টিভেনমের দাম ১০ হাজার টাকাও কিছু বেশি। লজিক্যালি লোকটার দোষ নেই বললেই চলে। পেশায় তিনি ছিলেন একজন জেলে। দিনে হয়তো এক দেড়শ টাকা তার ইনকাম হয়। রাতে যারা বাজার থেকে অন্ধকারে ঘরে ফেরে তাদের এবং জেলেদের সাপ বেশি কাটে। কারণ জেলেরা বর্ষার রাতে বড়শি ফেলে, জাল ফেলে মাছ ধরে। নদী বা নালায় মাঝ ধরে। সাপ শুকনো ভেবে আইলে উঠে থাকে। এরপর তাকে কামড় দেয়। আবার সিনেমা বলে,সাপ নাকি দুধ খায়। গরুর দুধ খেতে গোয়ালঘরে হানা দেয়। এই ধরনের ধারণা একেবারেই ভুল। সাপের জিহ্বা বাইফার্কেট মানে দুইভাগে বিভক্ত থাকে। চুষে দুধ খাবে এমন শক্তি তাদের নেই। গরুর পা, ওলান ইত্যাদিতে কামড় দিতেই পারে। তার মানে এটাতো নয় যে, দুধ খাচ্ছে। হতেপারে গরুর নড়াচড়ায় সে ভয় পেয়ে তাকে আক্রমন করেছে। গরুর শরীর তো আর প্যাঁচানো যাবে না, তাই সে পায়ে প্যাচিয়ে ধরে। এছাড়াও এসব সাপ জমির ব্যাঙ- পোকামাকড় খেয়ে পেট ভরে। কালো রঙ্গের দাড়াশ সাপ দেখি, এরা আমাদের ফসলের উপকার করে। ফসল বাঁচায়। এদের না মারাই বাঞ্ছনীয়। সাপে কাটলে ব্লেড দিয়ে কেটে দিলে বিষ বের হয়ে যায়। এই কথাটাও ভুল। ভুলেও এই কাজ করতে যাবেন না। ব্লেড দিয়ে ক্ষত স্থান কাটলে বিষকে রক্তের সাথে খুব সহজেই মিশে যায়। দংশন করা সাপকে উল্টোকামড় দিলে বিষ ফেরত চলে যায় সাপের ভেতরে। এটাও মূর্খের পরিচয়। পায়ে কাটলে বিষ সেখানে।

আপনার মুখের দাঁতে তো বিষ নাই। কীভাবে ফেরত দিবেন সাপকে?

সাপের বিষ তার দাঁতে থাকে না। সে যখন কামড় দেয় তার মুখের দুই পাশের একটা বিষাক্ত থলি থাকে। সেখান থেকে বিষ দাঁত বেয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করে। ঠিক যেনো ছুঁচ দিয়ে সিরিঞ্জের ভেতরে থাকা ইঞ্জেকশন দেবার মতো। শক্ত করে বাঁধলে বিষ ছড়াতে পারে না এমন ধারনা ভুলেই যান। আপনি নিজেও নিশ্চিত না যে,সাপটা বিষধর ছিল কি না, তাহলে শক্ত করে বাঁধবেন কেন?
অনেক ডাক্তার সাপে কাটার পর বাঁধতে নিষেধও করেন। কারণ এতে হিতের বিপরীতও হতে পারে। ফুটবলের অ্যাংলেট পায়ে দিলে যেমন আটসাট হয়ে থাকে এমন ভাবে গামছা বা শার্ট বা শাড়ি দিয়ে দংশনের কিছু উপরে পেঁচিয়ে নিতে পারেন। বাঁধন অবশ্যই ঢিল রাখবেন। দুট আঙ্গুল ঢোকে এমনভাবে ঢিলা করবেন। আবার খুব ঢিলাও না। ২০ মিনিট পরপর খুলে আবার বেধে নিতে পারেন। ভুলেও লোহার তার, খুবই শক্ত সরু সুতো, কারেন্টের তার বা অন্য সরু জিনিস দিয়ে বাঁধবেন না। বাঁধলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হাতে-পায়ে পঁচন শুরু হবে। বরং সারা জীবনের জন্য হাত বা পা হারানোর সম্ভাবনা থাকে। হয়তো আপনাকে বিষধর সাপ কাটেই নি অথচ আপনি ভয়ে গিট দিয়ে হাত পা পঁচিয়ে পঙ্গু হয়ে গেলেন। কেমন হবে ভাবুন?
সাপ কাটলে কিন্তু আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট খুলে ফেলবেন। কারণ কিছু সাপের বিষে আপনার আঙ্গুল, হাত বা পা ফুলে যেতে পারে। আংটি বা চুড়ি থাকলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পঁচন শুরু হতে পারে।

সাপ কখন কামড় দেয়?

১। সাপ যদি ভুলে আপনার মুখোমুখি হয়। তাহলে প্রথমে সে পালাতে চেষ্টা করবে। কিন্তু সে নিজে ভয় পেলে হিংস্র হয়ে ওঠে। কারণ সে নিজের আত্মরক্ষার জন্য আক্রমণ করে। সব প্রাণিই এমন। মুরগীরাও যেমন মাঝেমাঝে মানুষকে ঠোক্কর দেয়।

২। বর্ষাকাল মানেই হাসপাতালে সাপে কাটা রোগী পাবেনই পাবেন। কারণ বর্ষায় গর্তে জল ভরে গেলে তাদের থাকার জায়গা বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে সাপ ডাঙ্গায় উঠে, শুকনো জায়গায় আশ্রয় নেয়। সেটা জমির আইল, রাস্তা কিংবা আপনার ঘরের তোশকের তলা, বালিশের তলা, আলনার ভেতর, কাঠের স্তুপ যেকোন জায়গাতেই লুকোতে পারে।

৩। অন্ধকারে সাপের শরীরে পা পড়লে বা ভুলেও তার শরীরে পা পড়লে কামড় দিতে বাধ্য।

৪। ইদুরের গর্তে সাপ থাকলে সেখানে পা রাখলে বা দাড়ালেও আপনাকে কামড় দিতে পারে। বাচ্চা ছেলেরা মাঝে মাঝে বসে গর্তের মুখে প্রস্রাব করে। সন্তানকে এবিষয়ে শিক্ষা দিন। এই কাজ যেন আর পরে না করে।

তাহলে কি সব সাপই বিষাক্ত?

বঙ্গে ৮০ ধরণের সাপ আছে। তার মধ্যে মাত্র ২৭ টা বিষাক্ত। এর মধ্যে অধিকাংশই সামুদ্রিক। মাত্র ৫ থেকে ৬ প্রজাতি স্থলে বাস করে যারা বিষধর। আপনার চোখের সামনে নিয়মিত যাদের ঘোরাফেরা করতে দেখেন, তারা বিষাক্ত নয়। জলের সাপ অধিকাংশই বিষাক্ত থাকে না। তবে সামুদ্রিক সাপ সবগুলোই বিষাক্ত। যদি চেনেন তাহলে গোখরা, কেউটে, শঙ্খচূড়, চন্দ্রবোড়া এসব বিষাক্ত সাপ।

সাপে কাটলে বুঝবেন কীভাবে ?

সাপ দংশন করার পর যদি আপনি সরাসরি সাপ দেখে থাকেন, তাহলে বুঝবেন সে আপনাকে কামড় দিয়েছে। একবার এক ছেলে হাসপাতালে আসল। মাটির ঘরে অন্ধকারে হেলান দিয়ে বসেছিল। পীঠে সাপ কেটেছে। সারাদিন হাসপাতালে আমাদের অবজারভেশনে ছিল। রাতে তাকে রিলিজের আগে খবর আসল, যেখানে হেলান দিয়ে বসেছিল, সেখানে কে যেন তারকাটা পুতে রেখেছিল। পীঠে লেগে তারকাটা দেয়ালে ঢুকে যায়। খোচা লাগাকে সাপে কাটা ভেবে সে হাসপাতালে ছুটে আসে। ২৪ ঘণ্টা ভয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে ঘরে ফেরে সুস্থ অবস্থায়। তবে বিষাক্ত সাপে কাটলে বোঝা বেশ সহজ ব্যাপার।

১। শিকারি পশুর মত সাপেরও দুটো বড় দাঁত থাকে। দংশন করলে সেই জায়গায় গভীর ক্ষত তৈরি হয়। যদি দুঁটো দাঁতের দাগ বা ক্ষত দেখেন তাহলে ধরে নিতে পারেন, আপনাকে বিষাক্ত সাপ দংশন করেছে।

২। যদি অনেকগুলো দাঁত থাকে, সেখানে মাংস তুলে নিলেও ভেবে নিতে পারেন এটা সাপের কামড় নয়। অনেক দাঁতযুক্ত সাপ কিন্তু বিষাক্ত নয়। এতে আপনার প্রাণের কিছু হবে না।

৩। সাপের বিষ কয়েক প্রকৃতির হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে নিউরোটক্সিন রিলিজ করা সাপের কামড়ে। এক্ষেত্রে শরীরে ঝিমঝিমানি লাগবে। চোখে ঝাঁপসা দেখাবে। চোখের উপরের পাতা নেমে চোখ অংশিক বন্ধ হয়ে যাবে। ঘুম আসবে প্রচুর। মাথা ঝুলে যাবে। জিহ্বা ও শ্বাসনালী ফুলে যাবে। শ্বাস নিতে কষ্ট হবে। মুখ দিয়ে লালা ঝরবে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। বমি বমি ভাব লাগবে। আরো নানাবিধ লক্ষণ দেখা দিবে।
চন্দ্রবোড়া কামড় দিলে লোহিত রক্তকনিকা ভেঙ্গে যায়। ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা পর্যন্তও হতে পারে। কামরের জায়গায় রক্ত ঝরতে পারে। ক্ষত স্থান ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে। ফোস্কা পড়তে পারে। ক্ষত স্থানে চারিদিকে কালোও হতে পারে। কিছু সাপের কামড়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারে কিছু মানুষ।

মাঝেমাঝে নির্বিষ সাপ কামড়েও মানুষ মারা যায়। কেন জানেন ?

ভয় পেয়ে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার যায় অনেকেই। সাপের কামড়ে সিনেমায় গড়াগড়ি করতে দেখে হবেন নিশ্চয়, বিষের কারণে চেঁচামেচিও দেখেন। এগুলো সবই এক অভিনয়। সাপের বিষ নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, কেমন ব্যাথা বুঝিবে সে কীসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে… এইসব ভুলে যান। সাপে কাটা মানুষ খুব স্বাভাবিক থাকে শুরুতে। কোন ব্যাথা নাও থাকতে পারে। এমনকী মৃত্যু ঘটার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন ব্যাথা নাও বুঝতে পারে।

তাহলে চিকিৎসা কি ?

একদম ঘাবড়াবেন না। বেশি ঘাবড়ালেই বিষ বেশি ছড়াবে শরীরে। সাপেকাটা জায়গা ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে। কোনো গুজবে কান দিয়ে ব্লেড দিয়ে কাটবেন না। চুষে রক্ত বের করবেন, এমন চিন্তা ভুলেও নয়। যেখানে কামড়াবে সেখানকার নাড়াচাড়া বন্ধ। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ালে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে যায়। হাত একদম নাড়াবেন না। পায়ে কামড়ালে হাঁটবেন না। সাপেকাটা স্থানে ভুলেও অ্যাসিড ঢালার চেষ্টা করবেন না। মরিচের গুড়ো দিবেন না। কার্বলিক অ্যাসিডে ঝলসাবেন না। কোন ফলের বীজ, সর্পরাজ তেল, গুটি, আটি, বড়ি, তাবিজ কিছুই লাগাবেন না।
পারলে সাপটাকে চিনে রাখুন। সম্ভব হলে ছবি তুলে রাখুন। ডাক্তারকে বললে চিকিৎসা পেতে সুবিধা হবে। তবে সাপকে ধরতে যাবেন না। মেরেও ফেলার দরকার নেই। মৃত সাপকে ধরতে যাওয়াও নিরাপদ নয়। এরা মৃত্যুর ভান করে শুয়ে থাকতে পারে। জীবিত ধরে ওঝার কাছে যাবেন, এমন চিন্তা থাকলেও মাথা থেকে বের করে দিন। ওঝা সাপের বিষ নামাতে পারে না। ওঝারা অনেক রোগী ভালো করে। যেগুলো আসলেই বিষাক্ত সাপের কামড় ছিল না। বিষাক্ত হলে একটা সময় বুঝতে পারে তখন নানা অজুহাত নাগ-নাগিনির কথা বলে এরা হাসপাতালে রোগী রেফার করে। আমরা হাসপাতালে অনেক পাই যারা একেবারে শেষ মুহুর্তে আসে। ওঝার কাছে গিয়ে জীবন খুইয়ে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি করার পর আসে। বিষাক্ত সাপে কাটলে আপনি বাঁচতে পারেন একটি মাত্র পথন অনুসরণ করলে। সেটা হল- দুনিয়ার কারো মতামত নিবেন না। সরাসরি হাসপাতাল আসবেন। সাপে কাটলে এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে সরকারি কোনো বড় হাসপাতালে যান। রাসেল ভাইপারভ বাদে সব সাপেরই বিষের অ্যান্টিভেনম থাকে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসা শেষে ফিরে আসবেন। রাসেল ভাইপার বাংলার প্রায় বিলুপ্ত সাপ। বন্যার জল-স্রোতে এরা আবার ছড়িয়ে পড়তে পারে দেশময়।

যদি বুঝে ফেলেন, সাপটা বিষধর নয়, তাহলে কী করবেন ?

তবুও হাসপাতালে যাবেন। ভর্তি হয়ে প্রয়োজনে বিছানায় ২৪ ঘন্টা বসে থাকবেন। তবুও হাসপাতালে যাবেন। নোটঃ অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। সাপ মারবেন না। সাপ বাস্তুতন্ত্রের এক ভারসাম্য অংশ। ঘরে সাপ পাওয়া গেলে স্নেক রেস্কিউয়ারকে জানাতে পারেন। ওঝাদের জানিয়ে পরিবেশ থেকে এসব সাপ বিলুপ্ত করবেন না। ওঝারা সাপ মেরে পুড়িয়ে তেল বানায়। সেই তেল বাত ব্যাথা- সাপের বিষ নামানো, হারানো যৌবন পুনরুত্থান নামক নানাকিসিমের মিথ্যা চিকিৎসায় ব্যবহার করে। তাদের এই খারাপ কাজটি করতে দিবেন না। কারণ দিনশেষে সেই সাপের তেল হয়তো আপনার আত্মীয়ই কিনে নিয়ে ব্যবহার করছে।

কার্বলিক অ্যাসিডে সাপ পালায় ?

সাপের ঘ্রাণ শক্তিই এততাই দূর্বল যে ফুলের গন্ধেও আসে না, তাহলে কার্বলিকে সাপ পালাবে কি করে? এসব সেফটি এক কালে প্রচলিত ছিল। এখন শুধুই টোটকা বিশেষ। বাড়িতে খড়ের গাদা, জ্বালানির স্তুপ থাকলে আপনার মা বা স্ত্রীকে সতর্ক করে দিন। খড় বা জ্বালানি নেবার আগে সেখানে লাঠি দিয়ে কিছুক্ষণ শব্দ করুন। সাপ থাকলে চলে যাবে। রাতে বিছানা এমনকী বালিশের তলাও পরিষ্কার করবেন। আলনার ভেতরেও থাকতে পারে। শব্দ করে কাপড় নিতে যাবেন। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে কেটে ফেলুন। ঈদুরের গর্ত থাকলে ভরাট করে ফেলুন। অনেকেই বলেন, লঙ্কার মরিচপড়া দিয়ে ইদুরের গর্তের মুখে ধরলে সাপ চলে যায়। এসব ফালতু ব্যাপার। বর্ষাকাল আসছে। এখন সাপ আপনার বাড়িতে-ঘরে আশ্রয় নিতেই পারে। সাবধান থাকুন। অন্যদেরও সতর্ক করে রাখুন।

WhatsApp channel Join Now
Telegram channel Join Now

সর্বশেষ - কৃষি ও ফুল বাগান

আপনার জন্য নির্বাচিত

‘মদন মিত্র আমার ভাইয়ের মতো ‘ – তিলোত্তমার বাবা

ইংরেজ বাজার শহরে ৮৮ জন, জেলায় মোট আক্রান্ত্র ১৫৯ !করোনা নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক মহল

মালদা শহরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে আক্রান্ত দুই যুবক৷

স্বল্প খরচে আদি ভারতবর্ষের রূপ উপভোগ করতে গেলে পুজোয় যেতে হবে বারানসী

কোচবিহার জেলার পাঁচটি পুরসভায় ভোটগ্রহণ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশাসনের।

‘জওয়ান’-এর গান শাহরুখের কোন পুরনো ছবির স্মৃতি উস্কে দিল?

কালিংপংএর ‘মাংজিং গ্রাম’ – যেখানে মেঘ ও কুয়াশা এক সাথে খেলা করে

এবারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনক্ষণের কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে, জানতে পড়ুন।

ফের কালিয়াচকের বোমা বিস্ফোরণ আতঙ্কিত এলাকাবাসী

তৃণমূলের টানা ২৫ বছরের রাজ্য সভাপতি সরতে চান কেন?