Share on whatsapp
Share on twitter
Share on facebook
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

বিশ্বকর্মা পূজার দিনে ঘুড়ি উড়ানো কি অবলুপ্তির পথে! কেনই বা বিশ্বকর্মা পূজার দিনে ঘুড়ি উড়ানোর চল

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin

Newsbazar24: আজ ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পূজা। পুজো যেন বাঙালির শারদীয়া উত্‍সবের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে। আর বিশ্বকর্মা পূজা মানেই আকাশে রঙ বেরঙের ঘুড়ির মেলা। পেটকাটি, চাঁদিয়াল, মোমবাতি, বগ্গা, ময়ূরপঙ্খী, কত ধরণের বাহারী নাম। আসলে সনাতন ধর্মে এই বিশেষ দিনটিতে আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে!
আগে যেখানে এই দিনটা ঘুড়ি ছাড়া ভাবাই যেতোনা এখন কি আর সেই ছবি দেখা যায়? ঘুড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন ‘না’।, ঘুড়ি নিয়ে সেই উন্মাদনা এখন আর চোখে পড়ে না । বছর দশেক আগেও এই দিনটাতে রঙিন হয়ে উঠতো আকাশ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই রঙ আজ ভো-কাট্টা।
বেশ বছর আগেও এই বিশ্বকর্মা পূজার দিনে অনেক শিশু-কিশোরের বিনোদনের মাধ্যমই ছিল ঘুড়ি উড়ানো, সুন্দর ঘুড়ি তৈরির প্রতিযোগিতা করা, ঘুড়িতে মাঞ্জা দিয়ে একজন আরেকজনের ঘুড়ি কেটে দেওয়া ইত্যাদি। কিন্তু বর্তমানে বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষ এবং নগরায়নের প্রভাবে গ্রামীণ এই ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে। এখন শিশু-কিশোর থেকে সব বয়সের ছেলেমেয়ের হাতে হাতে ভিডিও গেমস ডিভাইস ও মোবাইল ফোন থাকায় তারা এসব গেমসের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। গেমসের নেশায় বুদ হয়ে নাওয়া-খাওয়া বন্ধ করে মোবাইলের স্ক্রিনে টানা অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকে অনেকে। তাদের ঘুড়ি উড়ানোর সময় কোথায়? এভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে ঘুড়ি উড়ানোর ঐতিহ্য।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই বিশ্বকর্মা পূজার দিনে ঘুড়ি কেন ওড়ানো হয় সেটা জানতে গেলে, একটু অতীতের দিকে ফিরে তাকাতে হবে। পুরাণ মতে, বিশ্বকর্মা হলেন দেবলোকের কারিগর।
অন্যদিকে ঋগবেদ অনুসারে তিনি হলেন স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিজ্ঞান বিদ্যার জনক। বলা হয় ব্রহ্মার আদেশে তিনিই নাকি কৃষ্ণের বাসস্থান দ্বারকা নগরী তৈরি করে দিয়েছিলেন। শ্রমিক থেকে ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য এই দিনটি ভীষণই জরুরি। আর এই দিনে বহু বছর ধরেই বাংলার আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি আছে।

Share on whatsapp
Share on facebook
Share on twitter
Share on email
Share on telegram
Share on linkedin