news bazar24: ভারতের ইতিহাসে হয়ত এই প্রথম কোন বিধায়ক কে অযোগ্য বলে ঘোষণা করলো নির্বাচন কমিশন।বিধায়ক হিসেবেই ‘অযোগ্য’ ঘোষিত হলেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। আজ শুক্রবার ২৬ অগস্ট এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল রমেশ বাইস। উল্লেখ্য,নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করার জন্য দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই সুপারিশ করেছিল নির্বাচন কমিশন।
এদিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানিয়ে দিয়েছে, হেমন্ত সোরেনকে বিধায়ক হিসাবে অযোগ্য ঘোষণা করা হলে তারা সেই ঘোষণার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে।যদিও বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি। বিশ্বাসযোগ্য এক সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচন কমিশন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে বেআইনি খনি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। তবে তারা তাঁকে শুধুমাত্র ‘অযোগ্য’ ঘোষণার সুপারিশ করেছে।বিধায়ক পদ খারিজ ,বা মুখ্যমন্ত্রীর পদ থাকবে কিনা এই বিষয়ে কোন সাজেশন নির্বাচন কমিশন দেয় নি ।
এদিকে সংবিধান অনুযায়ী রাজভবন থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পরে, হেমন্ত সোরেনকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে, তাঁর সামনে ছয় মাসের মধ্যে ফের নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ থাকছে। তারপর ইউপিএ সরকারের বিধায়করা নতুন করে আবার তাঁকে নেতা হিসাবে পুনর্নির্বাচিত করলে তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন।
এদিন নির্বাচন কমিশন, এক মুখ বন্ধ খামে ঝাড়খণ্ড রাজভবনে এই বিষয়ে তাদের সুপারিশ পাঠিয়েছিল। সেই খামে কী লেখা আছে, তাই নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি হয় রাজনৈতিক মহল। চাইলে কমিশন হেমন্ত সোরেনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়েও অযোগ্য ঘোষণা করতে পারত। তবে শেষ পর্যন্ত তা করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের বিশিষ্ট নেতা সর্যু রায়ও বলেছেন, ‘অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য এক সূত্র’ তাঁকে জানিয়েছে যে, কমিশন হেমন্ত সোরেনকে শুধুমাত্র ‘বিধায়ক পদের জন্য অনুপযুক্ত’ বলে ঘোষণা করেছে।
হেমন্ত সোরেনের বিরুদ্ধে নিজের নামে একটি সরকারি খনির ইজারা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে তিনি নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি বিজেপির। সেই অভিযোগ নিয়ে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে তাঁকে বিধায়ক হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করার আবেদন করা হয়েছিল। বিজেপি দাবি করেছিল, হেমন্ত সোরেন ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৯-এর ক ধারা লঙ্ঘন করেছেন। সূত্রের দাবি, এই ক্ষেত্রে নিজেকে খনির ইজারা দেওয়ার জন্য হেমন্ত সোরেনকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করার সুপারিশ করেছে কমিশন। শিগগিরই রাজ্যপাল রমেশ বাইস এই বিষয়ে সরকারি ঘোষণা করবেন।