‘বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ছটফট করছিল মেয়ে, সাহায্য পাইনি, বললেন এক মৃত মেয়ের বাবা

news bazar24:
রবিবার ভোরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে সাক্ষী আহূজা নামে এক মহিলার। বৃষ্টি ভেজা স্টেশনে বিদ্যুতের খুঁটি স্পর্শ করতেই তিনি তড়িৎ স্পৃষ্ট হন। চোখের সামনে একমাত্র মেয়েকে ছটফট করে মরতে দেখলেন সাক্ষীর বাবা লোকেশ কুমার চোপড়া।

মেয়ের মৃত্যুর পর রেল পরিষেবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি জানান, বিদুৎপৃষ্ট হবার পর মেয়েকে নিয়ে ঠিক সময় হাসপাতালে পৌঁছতে পারেননি তারা। স্টেশন চত্ব থেকে বেরোতেই ৩০ থেকে ৪০ মিনিট সময় পার হয়ে গিয়েছে। কোথাও কোন অ্যাম্বুলেন্স চিকিৎসক বা প্রাথমিক শিক্ষার বন্দোবস্ত ছিল না। স্টেশনের মুখে সাড়ে সারে গাড়ি দাঁড়িয়েছিল তাই হাসপাতালে পৌঁছাতে অনেকটা সময় চলে গেছে। হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই লোকেশ বুঝে গিয়েছিলেন মেয়ে আর নেই।

পূর্ব দিল্লির প্রীত বিহার এলাকার বাসিন্দা সাক্ষী ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষিকা। রবিবার সকালে দিল্লি থেকে সপরিবারে তিনি চন্ডিগড় যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ৯ বছরের পুত্র এবং ৭ বছরের কন্যা ছিল। সাক্ষীর মৃত্যু হয়েছে বুঝতে পেরেও তার সন্তানদের সামনে সে কথা বলতে পারেননি লোকেশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সাক্ষীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

মেয়ের মৃত্যুর পর লোকেশ বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল কিন্তু কিছু করা হয়নি। আমাদের এই সিস্টেমের কোন পরিবর্তন এখনো পর্যন্ত নেই। আমরা বন্দে ভারতের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ট্রেন চালু করছে কিন্তু স্টেশনে কোন পরিষেবা দিতে পারছিনা সাধারণ মানুষকে।

তিনি আরো জানান, দিল্লি স্টেশনে এর আগেও এমন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। স্টেশনের শ্রমিকরা এই কথা জানিয়েছেন। তরফ থেকে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বারবার এমন ঘটনা ঘটে গেলেও? কেন স্টেশনে খোলা তার পড়ে থাকবে? কেন সংবাদমাধ্যমে প্রচার না পেলে কোন কাজের কাজ হবে না? এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি চাই আমি।