বারাসত কলেজে চরম অশান্তি,সংঘর্ষের জেরে দাঁত ভাঙল পুলিশ অফিসারের

news bazar24: বারাসত কলেজে চরম অশান্তি,সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত কলেজ চত্বর । তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও সিপিএম ছাত্র পরিষদ এসএফআই-এর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত কলেজ সংলগ্ন এলাকা। সংঘর্ষের মাঝেই ডিউটি করতে এসে রক্তাক্ত পুলিশ । এক পুলিশ অফিসারের দাঁত ভেঙে গেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।

তিলোত্তমার বিচার, সন্দীপ ঘোষের জামিন সহ একাধিক ইস্যুতে বিভিন্ন কলেজের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনের কর্মসূচি নিয়েছে এসএফআই সদস্যরা। একইভাবে মঙ্গলবার বারাসত সরকারি কলেজে পৌঁছান তাঁরা। বাঁধা দিতে কলেজ গেট বন্ধ করে দেয় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তারা স্লোগান দেয়। অন্যদিকে, SFI সদস্যরাও স্লোগান দিতে থাকেন। তখনই তর্ক শুরু হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

টিএমসিপি দাবি করেছে যে এসএফআই বিক্ষোভকারীরা তাদের দিকে প্রথমেই পাথর ছুঁড়েছে। এ কারণে তারা প্রতিবাদ করেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। টিএমসিপি দাবি করেছে যে তারাও তিলোত্তমার বিচার চায়। কিন্তু এই ইস্যুতে কেন তারা কলেজ গেটে বিক্ষোভ করবে? অন্যদিকে, এসএসএফ-আই বলছে, দীর্ঘদিন ধরে কলেজগুলোতে কোনো ভোট হয়নি। রয়েছে একগুচ্ছ অনিয়ম। সেই কারণেই এই প্রতিবাদ। টিএমসিপির এক সদস্য বলেন, “দেখুন, কলেজের ভিতরে এখনও ইট পড়ে আছে। শুধু এসএফআইই পারে এই গুণ্ডামি। আগে আমরা হামলা করিনি। কলেজের গেট বন্ধ, সবাই সেটা দেখেছে ।”

এদিকে দুই রাজনৈতিক দলের বাধা দিতে গিয়ে পুলিশের ওপর হামলা হয়। এসএফআইয়ের যুগ্ম সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, “এসএফআই কলেজ গেটে তিলোত্তমার বিচার দাবি করছিল। এ নিয়ে বাকি ছাত্র সংগঠনগুলো কেন ক্ষুব্ধ হবে? এসএফআই একটি ছাত্র সংগঠন। কলেজ দখল তাদের লক্ষ্য নয়। তারা বারাসতের ডিএম অফিসে ডেপুটেশন জমা দিতে যাবেন। যাবার সময় রাস্তায় পড়েছে এই কলেজ। এসময় তারা কিছুক্ষণ স্লোগান দেয় । আর তৃণমূল যদি এতটাই তিলোত্তমার বিচার চায়, তাহলে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়া উচিত ছিলো । অন্যদিকে, TMCP রাজ্য সভাপতি ত্রিনাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “তারা SFI নয়। তারা বাইরের গুন্ডাদের নিয়ে এসেছে। আসলে কলেজে তাদের কোনো ছাত্র সংগঠন নেই। তারা শুধু এস এফ আই এর নাম প্রচারে আনতে চায়।”