বাবাকে মেরে শোকেসে, দাদাকে সেপটিক ট্যাঙ্কে,কোচবিহারের এই ঘটনা নিয়ে জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য

newsbazar24 ঃ কোচবিহারে জোড়া খুনের ঘটনায় জেলা জুড়ে চাঞ্চল্য । কোচবিহার ব্লক ২-এর দাওয়াগুড়ি বৈশ্যপাড়া এলাকায় বাবাকে খুন করে শোকেসে ভরে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক ছেলের বিরুদ্ধে। এমনকি তার পিসতুতো সম্পর্কের দাদাকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রণব বৈশ্য নামের ওই যুবক বয়স ত্রিশের মধ্যে মাদকাসক্ত। আজ সকালে বাড়ির বারান্দায় রক্ত ​​দেখতে পান প্রতিবেশীরা। ডাকাডাকি করার পর কেউ সাড়া না দিলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে শোকেসের ভিতর কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় তার বাবা বিজয় কুমার বৈশ্যের দেহ দেখতে পায়। তার ছেলে প্রণব কুমার বৈশ্য বাড়িতে ছিলেন না। এরপর স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হয় কারণ প্রণব বৈশ্যের চাচাতো ভাই গোপাল রায় এই বাড়িতে থাকতেন এবং গত এক মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। এরপর তারা তল্লাশি চালালে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে প্লাস্টিকে মোড়ানো গোপাল রায়ের দেহও পাওয়া যায়। দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি, প্রণব বৈশ্য প্রচণ্ড মদ্যপান করতেন। এই দুই খুনের জন্য তিনি দায়ী।
প্রসঙ্গত, মা-বাবা ও বোনকে নৃশংসভাবে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত প্রমথেশ ঘোষালের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে চুঁচুড়া আদালত, গলা, রক্তনালী কেটে খুন করেছিলো তাদের ! 28 নভেম্বর, চুনচুড়া আদালত 2020 সালে বিষ্ণু মাল হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। আজ দশঘরা ঘটনায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

সোমবার চুঁচুড়া আদালতের বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা শুনানি শেষে আসামিদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। সাজা ঘোষণার পর, প্রমথেশ, পেশায় একজন গৃহশিক্ষক, আদালতের কক্ষে দাঁড়িয়ে তাকে মুক্তি দেওয়ার জন্য বিচারককে অনুরোধ করেন। কিন্তু বিচারক আবেদন খারিজ করে দেন।