বাংলাদেশ গণপ্রতিরোধের সন্মুখে পড়ে দুই সশস্ত্র জামায়েতি ইসলামী মৃত,আহত ৫

Newsbazar24: বাংলাদেশ গণপ্রতিরোধের সন্মুখে পড়ে দুই সশস্ত্র জামায়েতি ইসলামী মৃত, এছাড়াও
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরো পাঁচজন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়ায়। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনের অবস্থাও গুরুতর। সংঘর্ষের সময় দুষ্কৃতীরা প্রায় একশো রাউন্ড গুলি চালায়।এলাকায় তুমুল উত্তেজনা রয়েছে। গভীর রাতে পুলিশ ও সেনা বাহিনী এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। গ্রামবাসীরা ঘোষণা করেছে সেনা-পুলিশ অন্যায়ভাবে ধরপারড় করলে তাদেরও গণপ্রতিরোধের মুখে পড়তে হবে। চট্টগ্রামের ঘটনাটি তৃতীয় প্রতিরোধ যেখানে গ্রামবাসীরা দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে পাল্টা জবাব দিল। মাঝে বাংলাদেশের উত্তরপ্রান্তের শহর রংপুরে জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহিরির অস্ত্র হামলাও গ্রামবাসীরা সম্মিলিতভাবে রুখে দেয়। গাজিপুরে হাসিনা সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ক্যাডার বাহিনী। রংপুরের মতো সেখানেও মসএজিদের সতর্কবার্তা পেয়ে গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে হামলা রুখে দেয়। গ্রামবাসীদের গণপিটুনিতে আহত হয় পনেরো জন। পরে তাদের একজন ঢাকার হাসপাতালে মারা যায়।
গণপিটুনিতে নিহতরা হলেন, নেজাম উদ্দিন ও আবু সালেহ। দু’জনেই জামায়াতে ইসলামির সশস্ত্র ক্যাডার হিসেবে পরিচিত। বছর পঁয়ত্রিশের দুই ব্যক্তি দীর্ঘদিন এলাকার বাইরে থাকার পর গত বছর ৫ অগাস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর ফিরে আসে। সাংগঠনিক পদে না থাকলেও দু’জনেই জামাতের নেতা হিসাবে পরিচিত ছিল। এলাকায় ফেরার পর পুলিশ-প্রশাসন তাদের সমীহ করে চলত। নিহত নেজাম চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামির সাবেক আমির শাহজাহান চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ। সেই কারণে এলাকাবাসীও তাকে ঘাটাত না।
এই সুযোগে তারা এলাকা দখলের অভিযানে নামে। এওচিয়া থেকে আওয়ামী লিগ সমর্থকদের এলাকা ছাড়া করতে বিশাল বাহিনী নিয়ে রাত দশটা-সাড়ে দশটা নাগাদ গ্রামে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
বিপদ বুঝে স্থানীয় মজজিদের ইমাম গ্রামে ডাকাত পড়েছে বলে ঘোষণা করতে থাকেন। মসজিদের বিপদ সংকেত শুনে দলে দলে গ্রামবাসী জড়ো হতে থাকেন। তাদের লক্ষ্য করে জামাত বাহিনী গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। অন্যদিকে, গ্রামবাসীরা চারপাশ থেকে বাহিনীকে ঘিরে ফেলে। একটা সময় তাদের গোলা-বারুদ শেষ হয়ে গেলে ঘিরে ধরা গ্রামবাসী গণপিটুনি শুরু করে। তাতে ঘটনাস্থলে দু’জন নিহত হয়।
গ্রামবাসীরা জানান, সিএনজিচালিত ট্যাক্সি ও মোটরসাইকেলে করে বাহিনীর জনা কুড়ি ক্যাডার গ্রামে প্রবেশ করে গ্রামবাসীরা টের পেয়ে স্থানীয় মসজিদে খবর দেয়। মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তে গ্রামবাসীরা যার যা আছে তা নিয়ে প্রতিরোধে নামে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলে গোলাগুলি। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনও জামাত ক্যাডার বলে জানা গিয়েছে। তাদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।