news bazar24: কোনভাবেই শান্ত হচ্ছে না বাংলাদেশের পরিস্থিতি। আন্দোলন করে রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর ভিতকে নড়বড়ে করে দেওয়া যে বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরে প্রকাশ, দিন কয়েক পেরিয়ে গেলেও, বাংলাদেশ যে স্বাভাবিক সাচ্ছন্দে ফেরেনি বা আন্দোলন যে থমকে যায়নি ,তা শুক্রবার ফের স্পষ্ট হল ।
সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলন ও মৃত্যুর ঘটনায় সমাজমাধ্যমে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সে দেশের সাধারণ মানুষ সহ বুদ্ধিজীবীরা ।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছে। গতকাল শুক্রবার ফের মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ডেস্কটপেও খুলছে না ফেসবুক-টেলিগ্রামের মত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ।
বলাবাহুল্য, এর আগে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার পর, গত মঙ্গলবার রাত থেকে ব্রডব্যান্ড এবং বৃহস্পতিবার থেকেই ধীরে ধীরে মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল হয়েছিল। কিন্তু ফের এক সপ্তাহের মাথায় বন্ধ করে দেওয়া হলো ফেসবুক-টেলিগ্রাম।

এদিকে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকেই বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আন্দোলন চলছে বাংলাদেশের নানা জায়গায়। বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর, ২৮ জুলাইয়ের যে  ভিডিওতে বিক্ষোভ কারীদের যে আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা বলতে শোনা গিয়েছিল, তা নাকি তারা স্বেচ্ছায় দেননি । সেই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ওই সময়ে ডিবির হেফাজতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ছাড়া পান সেই ছয় সমন্বয়ক । সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, বৃহস্পতির পর, শুক্রবারেই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, ওই বার্তা তাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় দেননি।
গতকাল শুক্রবার থেকেই ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন শুরু হয়েছে পড়ুয়াদের। অপরদিকে সন্তানদের নিরাপত্তা চেয়ে পথে নেমেছেন অভিভাবকরাও।