বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর লাগাতার নির্যাতনে উদ্বিগ্ন আমেরিকান গোয়েন্দা প্রধান, ইউনুস প্রশাসনের ঘুম উড়ল!

Newsbazar24:গত ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকা সফরে গিয়ে গিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।সেখানে তিনি আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলোচনায় প্রতিবেশী দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল এ বার মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের গলায়।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড দ্বিতীয়বার ভারত সফরে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পর তিনি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদেশে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা, নির্যাতন’ নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। বিশেষত, হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টানদের নিয়ে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ‘ইসলামিক সন্ত্রাস’ নিয়েও যথেষ্ট অস্বস্তি রয়েছে আমেরিকার। নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এটা নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর বলেও জানিয়েছেন তুলসী।
তিনি আরও জানান, ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই নিয়ে সবেমাত্র কথাবার্তা শুরু হলেও বিষয়টি উদ্বেগে রেখেছে তাঁদের। তার মতে, ‘ইসলামিক সন্ত্রাসবাদীদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর ভাবধারা এবং লক্ষ্য একই— ইসলামিক খিলাফত নীতি এবং শাসন চালু করা।’
স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অস্বস্তিতে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার। তাদের দাবি তুলসী গাভার্টের এই মন্তব্য বিভ্রান্তিকর।বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ইসলাম চর্চার জন্য পরিচিত। তাদের আরও দাবি , চরমপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশ অসাধারণ অগ্রগতি করেছে।
এক বিবৃতি দিয়ে ইউনুস প্রশাসন জানিয়েছে,
কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ বা অভিযোগের উপর ভিত্তি না করেই ওই মন্তব্য করেছেন গাবার্ড। আমেরিকার গোয়েন্দাপ্রধানের মন্তব্য গোটা বাংলাদেশকে ‘অন্যায় এবং অতিরঞ্জিত’ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবি ইউনূস প্রশাসনের। তাদের বক্তব্য, অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। তবে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর সহযোগিতায় ওই চ্যালেঞ্জের ধারাবাহিক ভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে।

“ছবিতে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গাবার্ড”