news bazar24:
অন্ন গৃহের লক্ষ্মী বলে মানা হয়, তাই অনেক বাড়িতেই ভাত নষ্ট না করার রীতি রয়েছে। প্রায়শই আমরা বাসি ভাত মনের আনন্দে খেয়ে থাকি কিন্তু অনেকেই জানেন না এতে লুকিয়ে থাকে মারনব্যাধি। বাসির ভাত যদি সঠিক সংরক্ষণ না হয় তাতে জন্ম নেয় ব্যাসিলাস সেরেয়াস নামক ব্যাকটেরিয়া, যে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণে ঘটতে পারে বিভিন্ন রোগ যাকে ফ্রায়েড রাইস সিনড্রোম বলে।
চিকিৎসকরা বলেন আধা সেদ্ধ বা কাঁচা মাছ মাংস বা ডিম থেকে জন্ম নেয় স্যালমোনেল্লা ব্যাকটেরিয়া আবার দুগ্ধগত খাবার থেকে জন্ম নেয় লিস্টেরিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়া। অথচ মানুষ প্রতিদিনই নির্ভাবনায় খেয়ে চলেন এই সমস্ত খাবার। বেঁচে যাওয়া ভাত যদি সঠিক তাপমাত্রায় সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায় তাহলে এই সংক্রমণের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে কি কি উপসর্গ দেখা যায়।
ডায়রিয়া: এই ব্যাসিলাস সেরেয়াস ব্যাকটেরিয়াটি শরীরে প্রবেশ করলে গ্যাস্ট্রো-ইনটেস্টাইনের ভিতর বাসা বাঁধে এবং বিষক্রিয়া তৈরি করে, যার ফলে অন্ত্রের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং ডায়রিয়ার মত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
বমি : এই ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ক্রমাগত বমি হতে দেখা যায়। ১ থেকে ৬ ঘন্টার মধ্যে একাধিকবার বমি করে রোগী।
পেটে ব্যথা : ডায়রিয়া ও বমির সমস্যা দেখা দিলে শরীরের জলের ঘাটতি হতে থাকে যার ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় এবং পেটের পেশি দ্রুত সংকোচন প্রসারণের জন্য যন্ত্রণা হতে শুরু হয়।
সংক্রমন থেকে বাঁচার উপায়:
খাবার এয়ারটাইট কন্টেনার ব্যবহার করা এবং সঠিক তাপমাত্রায় রাখা।
বেঁচে যাওয়া ভাত অবশ্যই মাইক্রোওয়েভপ্রুফ এবং বায়ুবিরোধী পাত্রে রাখা উচিত এবং ফ্রিজে রাখার আগে তার সম্পূর্ণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা জরুরি।
কোন খাবারেই বেশিক্ষণ বাইরের আবহাওয়া রাখা উচিত নয় কারণ এই ভ্যাপসা আবহাওয়া এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এ ধরনের ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ এবং তাতে খাবারে বিষক্রিয়া ক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।