প্রেমিকার মুখে হলুদ দেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতি নাবালক ! শোকের ছায়া এলাকায়

news bazar24: বড়ঞাথানার মুনাইকান্দ্রা গ্রামের নাম সাহিল খাঁ। ওরফ আতাউর খাঁ। পাশের গ্রামের একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন সম্পর্ক চলার পর বাড়ির লোক জানাজানি হওয়ার পর তাদের দুজনের প্রেমের বিপত্তি ঘটে। তারপর প্রেমে প্রতারিত! ভিডিও কলে প্রেমিকার গায়ে হলুদ দেখে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতি হল নাবালক। মঙ্গলবার সকালের ওই ঘটনা বড়ঞা থানার মুনাইকান্দরা গ্রামের। পুলিস জানিয়েছে, মৃতের নাম সাহিল খাঁ ওরফে আতাউর খাঁ (১৭)। নাবালক ওই গ্রামের বাসিন্দা ছিল। পুলিস দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ওই নাবালক এদিন নিজের বাড়িতেই গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে খড়িকাঠে ফুলে পড়ে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালকের সঙ্গে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে দিঘিরপাড় এলাকার এক নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এমনকি প্রেমের টানে নাবালিকা এর আগে দুইবার নাবালকের বাড়ি চলে এসেছিল। যদিও তাকে বুঝিয়ে ফের নিজের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি।
এরপর সম্প্রতি নাবালিকার পরিবার এই সম্পর্ক একেবারেই মেনে নিতে পারছিল না। মৃতের কাকা কবির খাঁ বলেন, নাবালিকার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিল ওদের পরিবার। এরপর কয়েকদিন ধরে নাবালিকার পরিবার সহ ওদের আত্মীয়স্বজনরা গ্রামে বাইক বাহিনী এনে হুমকি দিচ্ছিল। সেই ভয়ে ভাইপোর বাবা ও মা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। বাড়িতে একাই লুকিয়ে থাকতে হত ভাইপোকে। এদিন মৃত্যুর খবর পেয়ে ওঁর বাবা মা গ্রামে ফেরেন।
মৃতের প্রতিবেশিরা জানান, প্রতিদিন বাইক বাহিনীর তাণ্ডব চলতে থাকায় মৃত নাবালকও পালিয়ে বেড়াচ্ছিল। রাতে এসে কোনভাবে বাড়িতে লুকিয়ে ঘুমত। তবে গ্রামের এক বন্ধুর সাথে ওর ভাল সম্পর্ক ছিল। ওই বন্ধুই এদিন সকালে ফোন রিসিভ করছে না দেখে বাড়ি চলে আসে। কিন্তু ঘরে ঢুকে দেখা যায় গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে। মৃতের মা সুফিয়া বিবি বলেন, আমরা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। এদিন রাত ১২টার সময় ছেলের প্রেমিকা ছেলেকে মোবাইলে ভিডিও কল করে দেখায় সে গায়ে হলুদ মেখেছে। আজ ওর বিয়ে। এটা ছেলে সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতি হয়েছে। অথচ ওরা বলত দুইমাস পরে ছেলর সঙ্গেই বিয়ে দেবে