পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচতেই আত্মঘাতী মা-মেয়ে

NEWS BAZAR24:
পাওনাদারদের হুমকির জেরে আত্মঘাতী মা এবং মেয়ে। দালালির টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছিল যার কারণে হুমকি আসছিল পাওনাদারদের থেকে। এই ধাক্কা সামলাতে না পেরেই প্রফুল্ল কাননের বাসিন্দা গোপা রায় এবং তার মেয়ে সুদেষ্ণা রায় আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যা করার জন্য কার্বলিক এসিডের সঙ্গে নরম পানীয় মিশিয়ে খান। এই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ কর্তৃপক্ষ এরকমই জানিয়েছেন।

প্রফুল্ল কাননের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে মা এবং মেয়ে ভাড়া থাকতেন। মৃত গোপাল ভাই ছিলেন গৌতম রায় যিনি বিধান নগর পুরসভার একজন কর্মী। তিনি এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায় সুইসাইড নোটে যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ রয়েছে তাদের গ্রেপ্তার করার পর তাদের জেরা করে জানা গেছে গৌতম এবং গোপা দালালির সাথে যুক্ত ছিলেন।

ফ্ল্যাট বাড়ির মিউটেশন, জমির চরিত্র বদল, লাইসেন্স ইত্যাদি করিয়ে দেওয়ার বদলে টাকা নিতেন। এই ব্যাপারে কিছু টাকা নেয়ার পর সেই অনুযায়ী কাজ করতে না পারার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। পাওনাদারেরা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাদের সেই কারণেই গোপা এবং তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

সুইসাইড নোটে আব্দুল্লা, সুব্রত ধর, তপন বোধক, রুপা বোধক এবং জিয়াউলের নামের উল্লেখ রয়েছে। যার পরেই তদন্ত করে জানা যায় প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা গোপা এবং গৌতমকে তারা দিয়েছিলেন কিন্তু যে কাজের জন্য টাকা দিয়েছিলেন সেই কাজ তারা করতে পারেনি।

টাকা ফেরত চাওয়ায় রবিবার সবাই মিলে গৌতম এবং গোপাদের শাসানি দেয়ার জন্য এই ফ্ল্যাটে যান। এমনকি যাবতীয় ঘটনা স্বীকারোক্তি সহ একটি কাগজ লিখে তাদের সই করিয়ে নেয়া হয়। এরপরেই গোপারা ঘাবড়ে যান। গৌতম জানিয়েছেন, দিদির পরামর্শে তিনি রবিবার পুজো দিতে গেছিলেন তারাপীঠে।

গভীর রাতে তিনি ফেরেন। এরপরে গোপাকে ডাকাডাকি করে সারা শব্দ না পেয়ে তিনি আবাসনের বাসিন্দা এবং কেয়ারটেকারকে জানান। সবাই মিলে দরজা ভেঙে দেয়ার পর দেখেন সুদেষ্ণা এবং গোপা দুজনায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এবং তাদের মুখ দিয়ে গ্যাজলা উঠছে।