Newsbazar24:৫ লক্ষ টাকা তোলা না দেওয়ায় কাঁঠাল গাছে বেঁধে এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মারধর করে গ্রাম ছাড়া করার অভিযোগ এলাকার একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মালদহের কালিয়াচক থানার ফতেখানি বাঙালি পাড়া এলাকায়। জানা গেছে আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম রহিম বিশ্বাস। ঘটনাটি নিয়ে আক্রান্ত পরিবার কালিয়াচক থানায় অভিযোগ দায়ের করেও কোন সুফল না পাওয়ায় বুধবার তারা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানালেন পুলিশ সুপারের কাছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব।
এদিকে এই ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ জেলার বণিক সভা এ বিষয়ে মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানান, আমরা এই তোলাবাজির তীব্র প্রতিবাদ করছি। আক্রান্ত পরিবার কালিয়াচক থানায় কোন সুবিচার না পেয়ে জেলা পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। আমাদের আশা জেলা পুলিশ শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবেন না হলে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানাতে বাধ্য হব।
আক্রান্ত ব্যবসায়ী রহিম বিশ্বাসের অভিযোগ গত ২০২২ সালে কালিয়াচকের ত্রাস জহুরুল খান তাকে অপহরণ করে। পুলিশি তৎপরতাই মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি থানা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করে। দীর্ঘ ২ বছর জেল খাটার পর জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরে আবার সন্ত্রাস শুরু করেছে জহুরুল খান। তিনি আরো জানান, থানায় করা অপহরণের অভিযোগ প্রত্যাহার এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করা হয় তার কাছে। গত শনিবার বাড়ি ফেরার পথে রাস্তা থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে কাঁঠাল গাছে বেঁধে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোন মতে প্রাণ রক্ষা করে বাড়ি ফিরে ওই ব্যবসায়ী।এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে গত চারদিন ধরেই তিনি তার পরিবার নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে রয়েছেন। এমনকী ফতেখানি স্ট্যান্ডের কাছে তার নিজের পোশাকের শোরুমও খুলতে পারছেন না। তাই বাধ্য হয়েই এদিন জেলা পুলিশ সুপারের তারস্থ হয়েছেন তারা বলে তিনি জানান।
এদিকে জানা গেছে জহুরুল খান একসময় তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিল। জেলার একাধিক বিধায়ক এবং নেতৃত্বের সাথে তার ছবি রয়েছে। তবে যদিও সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ায় তৃণমূল দল থাকে বহিষ্কার করেছে। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি।
এ প্রসঙ্গে বিজেপির দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, তৃণমূল দলের মদতেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। অবিলম্বে পুলিশকে এব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র আশীষ কুন্ডু বলেন, পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তবে ওই ব্যক্তির সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।মালদার পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।










